রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা এনে দিলেন ভিনিসিয়াস-কর্তোয়া

রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা এনে দিলেন ভিনিসিয়াস-কর্তোয়া। ফুটবলে জয়-পরাজয়ের হিসাব গোল সংখ্যায় করা হয়, তবে এই ফাইনালে রিয়ালের জয়ের কৃতিত্ব দিতে হবে কর্তোয়াকে। লিভারপুলের আক্রমনের ঢেউ সামলে চীনের প্রাচীর হয়ে দাড়িয়েছিলেন রিয়ালের বার পোস্টের নিচে। বুক চিতিয়ে লড়লেন স্পার্টান যোদ্ধার মতন। দলকে আগলে রাখলেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।

কর্তোয়া বলেছেন, ‘অনেক বছর, অনেক পরিশ্রম, আমার প্রাণের ক্লাবে আসা; গতকালই আমি বলেছি মাদ্রিদ জিতবে, সেটাই হয়েছে। লিভারপুল ও অন্য ক্লাবের সমর্থকরা আমার কথার সমালোচনা করেছে কিন্তু আমরা দেখিয়ে দিয়েছি ইউরোপের রাজা কারা। ’

ফাইনালে কর্তোয়া নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন দাম্ভিকতা তার সাজে। ফাইনালে লিভারপুলকে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের এক মাত্র গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ভিনিসিয়ুস গোলটা করেছেন, তার আগে-পরে অবিশ্বাস্যভাবে একের পর এক গোল বাঁচিয়েছেন কোর্তোয়া। ম্যচের ১৬ মিনিটেই প্রতিশোধের মিশনে এগিয়ে যেতে পারত লিভারপুল। মোহামেদ সালাহকে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত করেন থিবো কোর্তোয়া।

চাপ ধরে রেখে ২১তম মিনিটে  সেরা সুযোগটি পায় লিভারপুল। তবে কোর্তোয়ার নৈপুন্যে ও ভাগ্যের ছোঁয়ায় বেঁচে যায় রিয়াল। ডি-বক্সের বাইরে থেকে সাদিও মানের জোরাল নিচু শটে ঝাঁপিয়ে কোনোমতে আটকান গোলরক্ষক, তার হাতে লেগে বল বাধা পায় পোস্টে।

ম্যাচে একচেটিয়া আক্রমন চালিয়ে গেছে লিভারপুল। তবে কোর্তোয়ার নৈপুন্যে গোলের দেখা মেলেনি তাদের। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূণ্য ভাবেই। যদিও ৪৩ মিনিটে বেনজেমান গোল অফ সাউতের কারণে বাতিল হয়ে যায়। নয়তো প্রধামের্ধই এগিয়ে যেতে পারত রিয়াল।

ম্যাচের ৫৯ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে গোল করে লিভারপুলের স্বপ্ন ভঙ্গ করেণ ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ২০১৮ সালেও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল সালাহদের। এবার সেই হারের প্রতিশোধের মিশন ছিল অলরেডদের। তবে এবারও রিয়াল বাধা টপকাতে পারলো অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি। রিয়াল মাদ্রিদের ১৪ তম শিরোপার ইতিহাসে; সপ্তম স্বর্গে ওঠা হলো  না লিভারপুলের।শিরোপা জিততে ভাগ্যেরও দরকার হয়, সেটাও আবারও প্রমাণিত হলো।

Print Friendly

Related Posts