মাদারীপুর প্রতিনিধি: আগামীকাল (শনিবার) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু। শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের বাংলাবাজার ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাটে অনুষ্ঠিত হবে জনসভা।
সেতু উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন এখানে। সমাবেশকে ঘিরে সাধারণ মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। পদ্মাপাড়ের মানুষের মনে বইছে আনন্দজোয়ার।
এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সমাবেশে নৌ পথে আসবেন অসংখ্য মানুষ। নৌপথে আসা মানুষের জন্য বাংলাবাজার ঘাটে অস্থায়ীভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে ১৫টি ঘাট। লঞ্চ এসে এ সকল ঘাটে ভিড়বে।
এদিকে শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলাবাজার ঘাট পরিদর্শন করেন।
এসময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, পদ্মা বহুমুখী সেতু শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিআইডব্লিউটিএ বাংলাবাজার প্রান্তে সমাবেশ স্হলে ইটের সলিং ও বালি দিয়ে সমাবেশ উপযোগী করেছেন। সর্ব সাধারণ নৌপথে নির্বিঘ্নে নিরাপদে সমাবেশে অংশ নেওয়ার লক্ষ্য নদীতে আধুনিক মার্কা বয়া বীকন স্হাপন করা হয়েছে। সমাবেশে আগত মানুষের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক প্রায় ৩০টি নৌযান প্রস্তত রয়েছে। ভিআইপিদের যাতায়াতে বিআইডব্লিউটিএএর পরিদর্শী জাহাজ প্রস্তত রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক অনুষ্ঠানকে প্রানবন্ত আকর্ষণীয় করতে শিমুলিয়া, বাংলাবাজার এলাকায় আলোকসজ্জাসহ ব্যানার ফ্যাস্টুন বিলবোর্ড দিয়ে পুরো এলাকায় আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আগত মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য দুই পাড়ের পুরো ফেরিঘাট এলাকা সংস্কারসহ নতুন সাজে সাজানো হয়েছে। বিভিন্ন স্হান থেকে নৌপথে আগত মানুষের জন্য অতিরিক্ত সুবিধার জন্য পন্টুন স্হাপনসহ ৮ টি নতুন এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহ নিয়োজিত এসএসএফ এর চাহিদা অনুযায়ী শিমুলিয়া মাঝিকান্দি এবং বাংলাবাজারে ৩টি কন্ট্রোল রুম স্হাপনসহ ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া শিমুলিয়া এবং বাংলাবাজার প্রান্তে সকল স্থাপনা, রাস্তাঘাট এবং পার্কিং ইয়ার্ডসহ সকল স্থানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং খানাখন্দ লেভেল ড্রেসিং করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চগুলোর যথাযথভাবে বার্থিং এর জন্য মুরিং বয়া স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় যাত্রী সুশৃঙ্খভাবে আরোহণ এবং অবরোহন কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৬টি ক্যামেরাসহ সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।
শনিবারের পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে নিরাপদ করার জন্য বিআইডব্লিউটিএ-এর প্রায় ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন।
শুক্রবার সকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলাবাজার ঘাট ও জনসভাস্থল পরিদর্শনে এসে এসব তথ্য জানান।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য নৌঘাট থেকে পন্টুন নিয়ে আসা হয়েছে বাংলাবাজার ঘাটে। নতুন করে ১৫টি ঘাট প্রস্তুতের কাজ শেষের দিকে। লঞ্চ থেকে নেমে সাধারণ মানুষ যাতে সহজেই জনসভাস্থলে যেতে পারে এজন্য ঘাট থেকে রাস্তাও প্রস্তুত করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাবাজার ঘাটে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাট নিয়ে ৫টি ঘাট রয়েছে আগে থেকেই।
দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক (নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আমরা নতুন করে আরও ১৫ টি ঘাট প্রস্তুত করছি। প্রতিঘাটেই ৪টি বড় লঞ্চ একসাথে ভিড়তে পারবে। এছাড়া ছোট লঞ্চ ৮/১০টি ভিড়তে পারবে। লঞ্চগুলো লোকজন নামিয়ে নদীর মাঝে নোঙর করে রাখবে। সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।