কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের আটটি দানের সিন্দুক খুলে পাওয়া যায় সাড়ে ১৬ বস্তা টাকা। সারা দিন গণনা করে দেখা গেছে, এবার দান হয়েছে তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকায়। নগদ অর্থ ছাড়াও দানবাক্সে মার্কিন ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও সোনা-রুপার গহনাও পাওয়া গেছে।
শনিবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মসজিদ কমিটির কর্মকর্তাদের সামনে এ সিন্দুকগুলো খোলা হয়।
এর আগে গত ১২ মার্চ দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন সিন্দুকগুলোতে সব মিলিয়ে তিন কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তারও আগে গত বছরের ৬ নভেম্বর সিন্দুক খুলে পাওয়া যায় তিন কোটি সাত লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা।
পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘এবার তিন মাস ২০ দিন পর মসজিদের সিন্দুক খোলা হয়েছে। আমরা দেড় বছর ধরে মসজিদের দানের মূল টাকা খরচ করছি না। এগুলো ব্যাংকে জমা রাখা হচ্ছে। যা দিয়ে এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের বহুতল আধুনিক সুযোগ-সুবিধাযুক্ত দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। ওই কমপ্লেক্সে ৬০ হাজার মুসল্লির একসঙ্গে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকবে। নারীদের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থাও থাকবে সেখানে। থাকবে সমৃদ্ধ লাইব্রেরিসহ আরো নানা আয়োজন। এ প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছি। এতে প্রকৃতপক্ষে কত খরচ হবে তারা তা চূড়ান্ত করে আমাদের জানাবে। এরপর কাজ শুরু হবে কমপ্লেক্সের। ‘
জেলা প্রশাসক এ সময় জানান, ইসলামিক কমপ্লেক্সের পুরো ব্যয় দানের টাকা থেকে করা হবে।