চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৮০৭ শিশু হত্যা ও বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছে ১৫২ শিশু, আত্মহত্যা করেছে ২৬ শিশু, বিভিন্ন সময় ৫৬ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ১৩ শিশুর এবং বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া বলাৎকারের শিকার হয়েছে ১৮ ছেলে শিশু।
এই ছয় মাসে ১১১ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।
যাঁদের মধ্যে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন সংবাদকর্মী। সন্ত্রাসীদের গুলিতে কুমিল্লায় নিহত হয়েছেন একজন সাংবাদিক।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত প্রতিবেদনে (জানুয়ারি-জুন ২০২২) এ তথ্য জানায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এ জরিপ করে আসক।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথম ছয় মাসের সাংবাদিক নির্যাতনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকায় ১২টি ঘটনায় ২৫ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া বরিশালে চারটি ঘটনায় ২৩ জন এবং নারায়ণগঞ্জে চারটি ঘটনায় আরো চারজন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
গত ছয় মাসে যৌন হয়রানিকেন্দ্রিক সহিংসতার শিকার হয়েছে ১৩১ জন নারী-পুরুষ। এর মধ্যে লাঞ্ছিত এবং হামলার শিকার হয়েছে ৮২ জন নারী। যাদের মধ্যে যৌন হয়রানির কারণে পাঁচজন নারী আত্মহত্যা করেছে।
ধর্ষণের শিকার হয়েছে মোট ৪৭৬ জন নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৪ জন নারীকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে ছয়জন নারী। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার ১৪০ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছে ৪২ জন নারী।
যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ৯৮ জন নারী। এর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৪৯ জনকে এবং যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে ছয়জন নারী। এ সময় মোট ১২ জন গৃহকর্মী বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে আটজন নারী, যাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছে।