হার্ট কাঁটা ছেড়া না করে প্রাকৃতিক উপায়ে বাইপাস এখন সহজলভ্য

জ.ই. বুলবুল: অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি- হৃদরোগ সমস্যা সমাধানে কাটাছেঁড়া বা রিং বসানো ছাড়াই দেশে এখন অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যে সম্পুর্ন প্রাকৃতিক উপায়ে বাইপাস করা যাচ্ছে।

হার্ট কাঁটা ছেড়া না করে ইইসিপি (Enhanced External Counter Pulsation) এর মাধ্যমে এখন উন্নত বিশ্বের সাথে বাংলাদেশেই হচ্ছে হার্ট এর রোগ নিরাময় বিশ্বের এখন সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে।আর তা সহজলভ্যও।

এ পদ্ধতির মাধ্যমেই রোগীকে এখন পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (FDA)USA এবং ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS)UK , গ্রেট ব্রিটেনে এর নিরাপদ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এবং এ পদ্ধতিতে কোনো ঝুঁকি ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই আমাদের বাংলাদেশেও তা সম্ভবপর বলে জানালেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য মাতৃভূমি হার্ট কেয়ারের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার প্যানেল।

মাতৃভূমি হার্ট কেয়ারের এর প্রধান নির্বাহী পরিচালক ডা. এম এম রহমান প্রিভেন্টিভ কার্ডিয়লজিস্ট এবং খাদ্য ও জীবনাচরণ বিশেষজ্ঞ MBBS, BCS (Health), MD (Iran), Advance Training In Preventive Cardiology (Canada), Food Habit & Lifestyle Management (India) সাংবাদিকদের সাথে এক আলাপচারিতায় এ কথা জানান।

এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন স্তরের চিকিৎসকরাও উপস্থিত ছিলেন।

ডা. এম এম রহমান বলেন, এ পদ্ধতিতে রোগীকে অজ্ঞান করতে হয় না।তাকে ডায়াবেটিক এবং হৃদরোগীরাও সম্পূর্ণ নিরাপদ।ইইসিপি (Enhanced External Counter Pulsation) চিকিৎসা কাটা-ছেঁড়াবিহীন অত্যন্ত অল্প সময়ে হওয়াতে খুব দ্রুত সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

ডা. এম এম রহমান আরও বলেন, মানুষের জন্মের পর থেকে প্রায় ২০ বছর শারীরিক বৃদ্ধি চলতে থাকে। এ সময়টাকে বাড়ন্ত সময় বলে। এই বয়সের মধ্যে একজন মানুষ যে খাবার গ্রহণ করে তার প্রায় পুরোটাই তার শরীর গঠনের উপাদান হিসেবে কাজে লেগে যায়। এ সময়ে সাধারণত শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি চর্বি (Fat) হয়ে শরীরে বা রক্তনালীর ভেতরে জমা হয় না।

গবেষণায় দেখা যায়, সাধারণত ২০ বছর বয়সের পরে মানুষের রক্তনালীর ভেতরে চর্বি জমতে শুরু করে, অন্য ভাষায় মানুষের করোনারি ধমনীর ব্লক হওয়া শুরু হয় এ বয়স থেকেই। জীবনযাপন প্রণালী এবং খাবারের অভ্যাসের উপর ভিত্তি করে এই ব্লক বছরে ২% থেকে ৩% হারে বাড়তে থাকে। হার্টে করোনারি ধমনীর ভেতরে ১০০% ব্লক হতে সময় লাগে প্রায় ৪০-৪৫ বছর। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞান এখন উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে সম্ভব হয়েছে। মানবদেহের কাটা-ছেঁড়া না করে অত্যন্ত অল্প সমইয়েই ব্লক ও হার্ট এর ক্ষত সম্পূর্ণভাবে সারিয়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে। এমনকি কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই তাতে। USFDA এই পদ্ধতিকে নিরাপদ ও কার্যকর বলে স্বীকৃতিও রয়েছে। এপর্যন্ত অসংখ্য রোগীর সেবা দিয়েছি আমরা।তারা এখন পুরোপুরি সুস্থ্য হয়েছেন; এমনকি অনেকের যারা হাটা চলা করতে পারতেন না স্বাভাবিক জীবনের কোন কাজ করেতে পারতেন না তারা এখন সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। অনেকে আছেন যাদের ডাইবেটিস উচ্চ রক্ত চাপ ছিল বলে ওপেন হার্ট এবং রিং পরাতে অপারেশন করতে নামি দামী ডাক্তাররা অপারগতা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তারাও হার্ট এর রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আমাদেরকে।

চাঁদপুর থেকে আসা দলিল লেখক এম,এ সালাম চিকিৎসা নিতে এসে জানান, ডা. এম এম রহমান স্যার ও হাসপাতলের এমডি ইঞ্জিনিয়ার মো. মঈনউদ্দিন মিয়াকে কি দিয়ে কৃতঋণ শোধ করবো তা আমার জানা নেই। বড় বড় হাসপাতালের ডাক্তাররা যখন জানিয়ে দিয়েছিল আমার অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্ত চাপ এর কারণে আমার অপারেশন করা যাবে না, করতে গেলেই রিক্স রয়েছে, অপারেশন টেবিলেই মারা যেতে পারি! বা আমি সর্বোচ্চ আর ৬ মাস বাঁচবো। তখন আমি হতাশ হয়ে পড়ি কি করবো ভেবেই পাচ্ছিলাম না।কাজ করতে পারতাম না এমন কি নিজে নিজে বাথরুম ও ব্যাবহার করতে পারতাম না । তখন সিঙ্গাপুর যাবার প্রস্তুতি নিছিলাম তখন দেশের মাঝে শেষ চেষ্টা হিসেবে এক বন্ধুর পরামর্শে জানতে পারি রাজধানী ঢাকার কালভার্ট রোড, নয়া পল্টনে অবস্থিত মাতৃভূমি হার্ট কেয়ারের কথা। তখন সেখানে ছুটে আসি। তাদের সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে কাঁটা ছেড়া ছাড়াই হার্ট ব্লক এক চিকিৎসা ব্যাবস্থার নানাধিক ব্যবস্থা দেখে প্রথমে বিস্মিত হই! কি কেমন হবে জানিনা।তারপরও আল্লাহর হুকুমে চিকিৎসা শুরু করে দেই। দেশের স্বনামধন্য হার্ট স্পেশালিস্ট ডা. এম এম রহমান স্যারের তত্বাবধানে কিছুদিনের চিকিৎসায়ই আমি এখন পুরোপুরিভাবেই সুস্থ বোধ করছি।

আরেক রোগী তাহের আলম ব্যবসায়ী (৫২) বাসাবো থেকে আসা।তিনি জানালেন তার ৬ টি ব্লক ধরা পড়ে তিনি চিকিৎসা নিয়ে এখন পুরো সুস্থ। এবং দেশের বাইরে গিয়ে সময় ও অর্থ নষ্ট হয়নি। সেটাই তো বড়।

যোগাযোগঃ ডা.এম. এম রহমান, সিইও ও চিফ কনসালটেন্ট, মাতৃভূমি হার্ট কেয়ার লিমিটেড।
১,১/১ রুপায়ন তাজ, (৬ তলা), কালভার্ট রোড, নয়া পল্টন, ঢাকা।প্রয়োজনেঃ
০১৩২৪৭৩০৫১০-১৩ info@mhclbd.com

Print Friendly

Related Posts