গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে আজ (রবিবার) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করছে বাংলাদেশ।
ওয়ানডে প্রিয় ফরম্যাট হওয়ায় টাইগাররা জয়ের পথে ফেরার প্রত্যাশা করছে। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস। প্রথম ম্যাচ জিতে হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়ার পাশাপাশি ঈদুল আজহাতে দেশবাসীকে জয় উপহার দেওয়া টাইগারদের লক্ষ্য।
ওয়ানডে ফরম্যাটে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যেকোনো দলকে হারানোর রেকর্ড থাকায় বাংলাদেশ সাফল্যের প্রত্যাশা করতেই পারে। গত মার্চে নিজেদের শেষ ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই সিরিজ জয়ের পর টাইগারদের বিশ্বের যেকোনো ভেন্যুতে সিরিজ জয়ের আশা জোরালো হয়েছে। গত বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর কোনো সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। এ সময় তারা হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই সিরিজে দুই ম্যাচের টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। আর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হারে। বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল। ২০১৮ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে আত্মবিশ্বাসী হতে পারে বাংলাদেশ। ওই সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তারা ক্যারিবিয়ানদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল। তবে যে একটি পরিসংখ্যান টাইগারদের অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করবে তা হলো, ২০১৮ সাল থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তারা কোনো ওয়ানডে হারেনি। এ সময় টানা আটটি ওয়ানডে জিতেছে টাইগাররা।
এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪১টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। জিতেছে ১৮টিতে, হেরেছে ২১টিতে। দুটি পরিত্যক্ত হয়। দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়-হারের ব্যবধান কমানোর জন্য এই সিরিজটি ভালো সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। ওয়ানডেতে এ পর্যন্ত ৩৯৪টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। সেখানে জয় ১৪০টি, হার ২৪৭টি এবং সাতটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। কিছুটা বিলম্বে হলেও, বাংলাদেশের জয়ের অনুপাত হারের চেয়ে বেশি।
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশ ১৫টি ওয়ানডে সিরিজে জয়ী হয়েছে, হেরেছে চারটিতে। যা এই ফরম্যাটে তাদের শক্তির বড় প্রমাণ। দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ দলে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয়, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন যথাক্রম চার ও সাত বছর পর। ওয়ানডে একাদশেও তাকে দেখা যেতে পারে। এই ফরম্যাটে সর্বশেষ তিন বছর আগে খেলেছিলেন বিজয়। সাকিবের বদলি হিসেবে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে খেলাতে পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দল : তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নুরুল হাসান সোহান, আনামুল হক, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল : নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), শামারাহ ব্রুকস, ব্রান্ডন কিং, রোভম্যান পাওয়েল, কেসি কার্টি, কাইল মায়ার্স, গুদাকেশ মোতি, কিমো পল, শাই হোপ, আকিল হোসেন, আলজারি জোসেফ, এন্ডারসন ফিলিপ ও জেইডেন সিলেস।