কোরবানির মাংস ভাগ নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধ শতাধিক

কোরবানির মাংস ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহীন মিয়া যুক্তরাজ্যে একটি চ্যারেটি সংস্থার মাধ্যমে গোতগাঁও গ্রামের হযরত মা ফাতেমা (রা:) মাদরাসায় ৩৫টি গরু দান করেন। গরুগুলোর কোরবানির মাংস ভাগাভাগি নিয়ে জগন্নাথপুরের গোতগাঁও গ্রামের শামীম মিয়া ও নবীগঞ্জ উপজেলার উমরপুর গ্রামের আহসান মিয়াসহ দুই গ্রামের কয়েকজনের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।

এক পর্যায়ে সোমবার বিকেলে দুই গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় গ্রামের অর্ধ শতাধিক লোক আহত হন।

আহতদের মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলার আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নবীগঞ্জ উপজেলার আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত উভয় পক্ষের জীবন মিয়া (১৭) সূয্য বেগম (৫৫), আলতাব উদ্দিন (৫৬), আব্দুল মনাফ (২২), আব্দুল খালিছ (৪০), আহসান উদ্দিন (৫০), আনাছ উদ্দিন (৪৫) কে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর ও নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ সার্কেল) শুভাশীষ ধর বলেন, কোরবানির পশুর মাংস ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই উপজেলার প্রতিবেশী দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং উভয়পক্ষের আহতদের জগন্নাথপুর, নবীগঞ্জ ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts