১২০ কি.মি গতিতে কার, রাতে দিনাজপুরে ৩ শিক্ষার্থী নিহত

দিনাজপুর সদর উপজেলায় একটি দ্রুতগামী প্রাইভেকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে তিন যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১১টায় দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের সদর উপজেলার ১ নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের সাত মাইল বাঁক নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সৌরভ।

তিনি জানান, দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- বর্ণ বসাক (২২), এআর ইমন (২৩) ও শাহরিয়ার শাওন (২৪)।

জানা যায়, নিহত বর্ণ বসাক দিনাজপুর শহরের সুইহারী এলাকার বাসিন্দা এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কপিলেশ্বর বসাকের ছেলে। নিহত ইমন মুন্সিপাড়ার মৃত নুরুল আমিনের ছেলে এবং ঢাকার সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। নিহত শাওন কসবা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গুরুতর আহত দুই যুবক হলেন- মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা মাহাবুবের তামজিদ (১৯) এবং বাহাদুর বাজার এলাকার বাসিন্দা মাহামুদুন নবী পলাশের ছেলে রওনাক নাবী প্রিয় (২৩)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, রাতে দশমাইলের দিক থেকে একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-গ ৪২৪৯১৭) দ্রুতগতিতে দিনাজপুর শহরের দিকে ফিরছিল। পথিমধ্যে সাতমাইল বাঁক এলাকায় গাড়িটি পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে বর্ণ বসাকের মৃত্যু হয়।  স্থানীয়রা গুরুতর আহত চারজনকে উদ্ধার করে রাত ১২টায় দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শাহরিয়ার শাওনকে জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। পরে রাত আড়াইটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অপর তামজিদ ও প্রিয়কে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, নিহতের পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারটি রাতেই দশমাইল হাইওয়ে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনার আগে গাড়িতে থাকা অবস্থায় রওনাক নাবী প্রিয় নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে চলন্ত প্রাইভেট কারের একটি ভিডিও ক্লিপ ‘মাই ডে’তে পোস্ট করেন। এতে দেখা যায়, গাড়িটির গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি। ‘মাই ডে’ দেওয়ার কয়েক মিনিট পরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts