ভোলায় জমি নিয়ে বিরোধে ৫ জনকে কুপিয়ে জখম

মোকাম্মেল হক মিলন, ভোলা: ভোলা সদর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ৫ জনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের গুপ্ত মুন্সি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ বশির আহমেদ গংদের সাথে বিগত এক বছর আগে মৃত নাসির মিয়ার ছেলে কালিমুল্লাহ গংদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই নিয়ে স্থানীয় ভাবে জসিম মসগুনির নেতৃত্বে মীমাংসা করিয়ে দেওয়া হয়। এবং স্থানীয় সালিশির প্রতিনিধিগণ বশির আহমেদ গংদের জমি বরাবর একটি বেড়া দিতে বলেন। সালিশির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বশির আহমেদ গংরা তাদের জমি সীমানা বরাবর এটি বেড়া দেন। কালিমুল্লাহ গংরা ও সেই মীমাংসা মেনে নেন। হঠাৎ করে গতকাল পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে কালিমুল্লাহ গংরা জমির সেই সীমানা বেড়া ভেঙ্গে ফেলতে চান , বশির আহমেদ গংরা বেড়া ভাঙতে বাধা দিলে কালামুল্লাহর নেতৃত্বে মহাবুবুল, শাহীন ,মনির, হারুন ও মিজান সহ দশ বারো জন মিলে বশির আহমেদের গংদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা করেন ।

হামলায় মোহাম্মদ জসিম (৩৮), মোঃ বশির আহাম্মেদ (৭০), অহিদা বেগম, মিনারা ও কহিনুর কে দেশীয় অস্ত্র লাঠি ও দা দিয়ে বেধরক মারধর ও কুপিয়ে জখম করেন। এতে জসিম উদ্দিনের মাথায় কোপ লাগে ও হাত ভেঙে যায়, বশির আহমেদের হাতের আঙ্গুল ফেটে যায়। অহিদা বেগমের এক হাত ভেঙে যায় অন্য হাতের আঙ্গুল ফেটে যায়, মিনারা ও কহিনুরের মাথা ফেটে যায়। বাহুতে লাঠির আঘাতে জখম হয়।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে স্বজনরা ভোলার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তারা ভোলা সদর হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ড ও মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে । এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আহত মোঃ জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ওই জমি আমার বাবা ও আমি ভোগ দখল করে আসছি। গত বছর জোরপূর্ব কালিমুল্লাহ গংরা আমার জমি দখল করার চেষ্টা করে। তারপরে স্থানীয় ভাবে সালিশির মাধ্যমে এটা মীমাংসা করা হয়। সেই মীমাংসা তারা তখন মেনে নেয়।কিন্তু হঠাৎ করেই তারা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত কাল আমি এবং আমার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

অভিযুক্ত কালিমুল্লাহর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ও ফোন কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই সিদ্দিকুর রহমান বলেন,থানায় প্রাথমিক একটি অভিযোগ করলে ওসি সাহেব অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেন। আমি হাসপাতালে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাই সেখানে দুজন পুরুষ ও তিনজন মহিলা গুরুতর জখম অবস্থায় দেখতে পাই। ঘটনার বিষয়ে আমি ওসি সাহেবকে বিস্তারিত জানিয়েছি । এরপর মামলার রুজু হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব ।

Print Friendly

Related Posts