কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের রামুতে শাশুড়িকে হত্যার পর ৬ টুকরো করে মাটিতে পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হতভাগ্য শাশুড়ির নাম মমতাজ বেগম (৭০)। তিনি স্থানীয় মৃত গোলাম কবিরের স্ত্রী।
রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির মধ্যম উমখালী গ্রামে বাড়ির আঙিনা শাশুড়ির ৬ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে রামু থানার একদল পুলিশ রোববার বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে রামু থানার পুলিশ পরিদর্শক মনজুর আলম জানান, মমতাজ বেগমের ছেলে আলমগীরের স্ত্রী রাশেদা বেগমের সঙ্গে শাশুড়ির দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো। সেই কলহের জের ধরেই শুক্রবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করে রাশেদা। এরপর ৬ টুকরো করে বস্তায় ভরে বাড়ির আঙিনায় পুঁতে রাখে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রোববার বিকেলে রামু থানা পুলিশ মমতাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। পুত্রবধূ রাশেদার স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
জানা গেছে, নিহত শাশুড়ি মমতাজ বেগম পুত্রবধূ রাশেদা বেগমের আপন ফুফু।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, শাশুড়িকে হত্যার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন ঘাতক পুত্রবধূ। এ ব্যাপারে রামু থানায় মামলা হয়েছে।