বরিশাল ব্যুরো: বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ এলাকায় বিআরটিসি বাসের চাপায় অটোরিকশা যাত্রী এবং চালকসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও ২ জন আহত হন।
বুধবার (২০ জুলাই) বেলা সোয়া ১২টায় ওই মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সামনে এই দুর্ঘটনায় ঘটে। আহত ২ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, ব্যাটারীচালিত অটোরিকশাচালক হাসিব খান (২৫), অটোরিক্সা যাত্রী আমীর খলিফা (৬০), সোহাগ সিকদার (৩০) এবং দুই সহোদর তানজিলা (৩৫) ও সাথী (২৫)। দুর্ঘটনায় আহত হয়েও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন সাথীর দেড় বছর বয়সের মেয়ে ফারহানা।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন জানান, বরগুনার তালতলী থেকে বিআরটিসির একটি বাস (কুমিল্লা-ব-১১-০০৫৫) বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছিলো। অপরদিকে লিংঙ্ক রোড থেকে একটি অটোরিক্সা বাকেরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সামনে মহাসড়কের পাশে থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করছিলো। বাকেরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এলাকা অতিক্রমকালে ওই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের বাম পাশ থেকে ডানে গিয়ে দাড়ানো অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিক্সা চালক এবং ৬ যাত্রীর সকলেই আহত হয়।
স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অটোরিক্সা চালক হাসিব খান, যাত্রী আমীর খলিফা, সোহাগ সিকদার ও তানজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহতাবস্থায় অপর ৩ যাত্রী ফয়সাল (৩০), সাথী ২৫) ও তার শিশু কন্যা ফারহানাকে (দেড় বছর) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাথীকে শের-ই বাংলা মেডিকেলের জরুরী বিভাগে নেয়ার পর দুপুর দেড়টার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ইএমও ডা. রেজাউল করিম সিকদার।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন জানিয়েছেন, ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক পালিয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।