লাবণী আক্তারের সাবেক দেহরক্ষীর লাশ উদ্ধার

মাগুরা প্রতিনিধি: ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবনী আক্তার। নিহত লাবনী আক্তার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদের পাড়া ইউনিয়নের পরালিদহ গ্রামের শফিকুল আযম এর মেয়ে। মৃত্যুর আগে তিনি খুলনা ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বুধবার (২০ জুলাই) গভীর রাতে তিনি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে ডাকাডাকির পরেও দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বলেন, লাবনী আক্তারের বাবা।

এদিকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে মাগুরা পুলিশ লাইনস থেকে এক কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের ছাদ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মাহমুদুল হাসান (২৩) নামের ওই কনস্টেবলের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। দেড় মাস আগে তিনি মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন। পুলিশের ধারণা, নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বদলির আগে কনস্টেবল মাহমুদুল খুলনায় কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি নিহত পুলিশ কর্মকর্তা লাবণী আক্তারের দেহরক্ষী ছিলেন। দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত লাবণীর স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (এডি) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এখন ভারতে চিকিৎসাধীন আছেন।

Print Friendly

Related Posts