সকল পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে শনিবার (২৩ জুলাই) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এসডিজি ইয়ুথ সামিট- ২০২২ এর প্রথম দিনের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) এর সহযোগিতায় এই র্যালি আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীসহ প্রায় তিন শতাধিক তরুণ এই র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে বক্তারা জানান, পরোক্ষ ধূমপান মৃত্যু ঘটায়। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে আচ্ছাদিত কর্মস্থলে কাজ করেন এমন প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠির ৪২.৭ শতাংশ (৮১ লক্ষ) এবং প্রায় ২৪ শতাংশ (২ কোটি ৫০ লক্ষ) প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।
এছাড়াও ঢাকা শহরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী শিশুদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় শতকরা ৯৫ ভাগের মুখের লালাতে উচ্চ মাত্রায় নিকোটিন পাওয়া গেছে, যা মূলত পরোক্ষ ধূমপানের ফল। প্রতিবছর প্রায় ৬১,০০০ শিশু পরোক্ষ ধূমপানজনিত বিভিন্ন অসুখে ভোগে।
বাংলাদেশে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় সকল পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার সুযোগ না থাকায় পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্যকে সুরক্ষা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছেনা। পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে মানুষের জীবন রক্ষায় অবিলম্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে সকল পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার পক্ষে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য র্যালিটির আয়োজন করা হয়।
সূত্র: মেহেদি হাসান, প্রজ্ঞা।