মোকাম্মেল হক মিলন, ভোলা: ভোলার বোরহানউদ্দিনে সংবাদ সম্মেলন করে মেয়ে হত্যার বিচার চাইলেন বাবা।গৃহবধূর মিতু হত্যার বিচার দাবিতে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মেয়ে মিতু হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি করেন বাবা মো. বশির মীর।
তিনি অভিযোগ করেন, মেয়েকে তার স্বামী জুয়েল ও তার ভাই রুবেল, মা, ভাবী ও আলতাফ হোসেন, শাহাদাত হোসেনসহ আত্মীয়-স্বজনরা গত ২১জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় পিটিয়ে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, আমার বাড়ীতে ফোন করে অপর মেয়ে সীমাকে জানায় মিতু মারা গেছে। এই খবর পেয়ে আমি সহ অন্যান্যরা মিতুর শশুর বাড়ীতে এসে দেখতে পাই, মেয়েকে খাটের উপর শোয়াইয়া রেখেছে। তার শরীরে গালে,পাজরে, হাঁটুতে, তলপেটে মাথায়ও আঘাতের চিহ্ন। আমি চিৎকার করে উঠে বলি- তোরা আমার মেয়ে মিতুকে মেরে ফেলেছো, তখন আসামিরা বাড়ি থেকে সরে যায়। পুলিশ এসে আমাদের সকলকে ঘর থেকে বের দেয় ও মিতুর লাশ থানায় নিয়ে আসে।আমি থানায় বলেছি- জুয়েল, রিয়াজ ওরফে রুবেল, হাজেরা খাতুন, মোসা শাহনাজ ও মো. শাহাদাত হোসেন ও আলতাফ হোসেন এরা পিটিয়ে হত্যা করেছে।পুলিশ আমার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বলে মামলা লিখে নেব। আর মিতুকে ভোলা সদর হাসপাতালে পোস্টমর্টেম করতে পাঠিয়ে দেয় । সেখান থেকে মিতুর লাশ নিয়ে আমরা দাফন করে আবার থানায় আসলে দারোগা মামলা না নিয়ে আদালতে কোর্টে মামলা করার জন্য বলেন। বোরহান উদ্দিন উপজেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এ সময় মেয়ে জুয়েনা কান্না জড়িত কন্ঠে বলে- ওরা আমার মাকে পিটিয়ে মেরেছে ,আমি তাদের ফাঁসি চাই, আমরা এতিম হয়ে গেছি,আমাদেরকে কে দেখবেন ,আমরা এখন নানা নানুর কাছে আছি ।আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই।
আড়াই বছর বয়সী শিশু জুনাইদ মা বেঁচে আছে কিনা বুঝতে পারছে না ।
বাবা মো. বশির মীর বলেন, আসামি রিয়াজ ওরফে রুবেল নিজেকে বোরহানউদ্দিন থানার সোর্স ও দালাল দাবি করে বলেছে, তাদের কেউ কিছু করতে পারবে না ।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নিহত মিতুর দুই মামাসহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন এবং অবিলম্বে আসামিদের গ্রেফতার করে শাস্তি দাবি করেন।