বরগুনা সদর উপজেলার এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নের জুলহাস মিয়া ইউটিউবে অসময়ে বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ পদ্ধতি দেখে তিনি অনুপ্রানিত হন। বর্ষার মৌসুমে তরমুজ চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন এই কৃষক। প্রতিটি তরমুজ বেশ বড়। গড় ওজন ৫-৬ কেজি। মৌসুমী তরমুজের চেয়ে সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে এর বেশ চাহিদা রয়েছে বলে জানান, এই চাষী।
জুলহাস বলেন, তরমুজের ক্ষেত প্রস্তুত করতে তার খরচ হয়েছে ৬৫-৭০ হাজার টাকা। ক্ষেতে যে ফলন হয়েছে তাতে তিনি আনুমানিক প্রায় ৫ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে আর্থিক সহায়তা না করলেও সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বর্ষাকালে তরমুজ চাষের সুবিধা উল্লেখ করে এই চাষি বলেন, ক্ষেতে পানি দিতে হয় না, সার কম লাগে এবং মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করার কারণে খরচ নাই বললেই চলে। এছাড়া আরেকটি সুবিধা হলো কোন কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সিজনাল তরমুজের চেয়ে এ তরমুজের স্বাদ অনেকটা বেশি বলে বাজারে এর চাহিদা রয়েছে। জুলহাস আমাদের পরিচিত কৃষক। তরমুজ চাষ করে তিনি সফল হয়েছেন। তবে, যে কেউ জুলহাসের মত সব্জি, ফলমূল চাষ করলে কৃষি বিভাগ তাদেরকে সব ধরনের পরামর্শসহ সাহায্য সহযোগিতা করবে বলে জানান, ওই কর্মকর্তা ।