চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া ইউনিয়নের খৈয়াছড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের নিহত ১১ যাত্রীর সবাই হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজার যুগীরহাট এলাকার একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র ও শিক্ষক।
তাদের মধ্যে ৪ জন পেশায় শিক্ষক বলে জানা গেছে। তারা হলেন রাকিক হোসেন, সজীব, জিসান ও রিদোয়ান। নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হন। মাইক্রোবাসের আরোহীরা খৈয়াছড়া ঝর্না দেখে ফেরার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতীর ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ৫ জনকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। তবে এদের কারো পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তারা। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের বিস্তারিত পরিচয়ও জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি মাইক্রোবাসটিকে প্রায় ১ কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় রেল লাইনটি অরক্ষিত ছিল। সেখানে কোনো গেটম্যান ছিল না।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী জানান, মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি বড়তাকিয়া ক্রস করার সময় লাইনে ওঠে যায় মাইক্রোবাস। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি কিছু দূর চলে যায়। লেভেলক্রসিংয়ের বাঁশ ঠেলে মাইক্রোবাস লাইনে উঠলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় ১১জন নিহতের খবর হাটহাজারীর আমান বাজার যুগিরহাট এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো গ্রাম জুড়ে স্বজনদের আহাজরীতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।