চলন্ত বাসে ডাকাতি শেষে নারী যাত্রীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি শেষে এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই নারী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস ২৪ থেকে ২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার পথে রওনা দেয়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে একদল ডাকাত যাত্রীবেসে বাসে উঠে। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাত দল বাসটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর বাসে থাকা যাত্রীদের হাত, পা ও চোখ বেঁধে মারধর ও লুটপাট করে। এসময় বাসের এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে ডাকাতদল।

ওসি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজা মিয়ার বাড়ি কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামে। তার বাবার নাম হারুন অর রশিদ। তিনি টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এ তথ‌্য নিশ্চিত করে বলেন, ঈগল পরিবহনের যে বাসটি ডাকাতের কবলে পড়ে, সেই বাসের চালককে সরিয়ে দিয়ে রাজা চালকের সিট দখল করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় কে কে জড়িত ছিলো রাজা আমাদের জানিয়েছে।

তিনি জানান, মধুপুরে বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। ভোরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

Print Friendly

Related Posts