কাইয়া-রাজার জোড়া শতকে বাংলাদেশের হার

৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর অনেকেই ভেবেছিল দিনটা হয়তো বাংলাদেশের। কিন্তু তা হতে দেননি ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজা। তাদের জোড়া শতকে ভর করে টাইগারদের ৩০৩ রান টপকে যায় ১০ বল বাকি থাকতেই। শুরুটা ভালো না হলেও শেষ হাসি হাসলো জিম্বাবুয়ে।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ড মাঠে টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাট করতে পাঠায় জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার। ফিফটির পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় কাটা পড়ে তামিম ইকবালের ইনিংস। সিকান্দার রাজার বলে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে তিনি ৮৮ বলে ৬২ রান করেন। একই সঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৮ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম।

এদিকে জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালানো লিটন ৭৫ বলে অর্ধশতক ছুঁয়েছিলেন। পরের ১৪ বলে লিটন করেছেন ৩১ রান। সিকান্দার রাজার বলে সিঙ্গেল নেওয়ার পরই হ্যামস্ট্রিং চেপে ধরে শুয়ে পড়েন লিটন। আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। স্ট্রেচারে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিংরুমে। রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে তিনি ৮৯ বলে ৮১ রান করেন। লিটনের মাঠ ছাড়ার পর রানের চাকা দ্রুত ঘোরাতে থাকেন মুশফিকুর রহিম ও এনামুল হক বিজয়। এর মধ্যে ৭১ রানে জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না এনামুল। ৬২ বলে ৭৩ রান করে নিয়াউচির বলে ফিরে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত ২ দুই উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। মুশফিক ৫২ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। সিকান্দার রাজা ও ভিক্টর নিয়াউচি একটি করে উইকেট পান।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা একদম ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। ৬ রান তুলতেই দুই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ইনিসের প্রথম ওভারের শেষ বলে বোল্ড হন রেজিস চাকাভা। মোস্তাফিজুর রহমানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে ইনসাইড-এজে বোল্ড হন চাকাভা। পরের ওভারেই আঘাত আনেন শরিফুল ইসলাম। তাকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন তারিসাই মুসাকান্দা। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করেন ওয়েসলি মাধেভেরে ও ইনোসেন্ট কাইয়ার। সেটি ভুল বোঝাবুঝিতে সেই জুটি ভাঙে। মিরাজের বল মিড উইকেটে খেলে ২ রান নিতে চেযেছিলেন কাইয়া। তাইজুলের থ্রোয়ের পর স্টাম্প ভাঙেন মিরাজ। ফলে রান আউটে কাটা পড়েন মাধেভেরে। এর পর ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজার ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে জিম্বাবুয়ে। ইনোসেন্ট কাইয়া ১১০ রান করে মোসাদ্দেকের বলে বিদায় নেন। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজা ১৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts