আফিফ হোসেন খেললেন ৮১ বলে ৮৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস। শুরুতে তামিম, শান্ত, মুশফিক রান না পাওয়ায় চাপ বেড়েছিল। এনামুল ৭১ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে সেই চাপ কমান। কিন্তু মধ্যভাগে মাহমুদউল্লাহর ৬৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে আবার কঠিন পরীক্ষায় ফেলেন। সেখান থেকে আফিফের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ২৫৬ রানের মাঝামারি মানের পুঁজি পায়। আফিফ ৬ চার ও ২ ছক্কায় সাজান তার ইনিংস।
বাংলাদেশের জয়ের পেছনে মোস্তাফিজের ৪ উইকেট বড় অবদান রাখলেও পথের কাঁটা সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়েছেন অভিষিক্ত ইবাদত হোসেন। ডানহাতি পেসার রাজাকে ইনসুইং ইয়র্কার ডেলিভারিতে গোল্ডেন ডাকের তিক্ত স্বাদ দেন। এর আগে তার লাফিয়ে উঠা বলে আউট হন ওয়েসলি মাধভেরে। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ধস নামান।
পেসার ইবাদত ৮ ওভারে ১ মেডেনে ৩৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে তার অভিষেক রাঙিয়েছেন।
দলের জয়ে বড় অবদান রাখা এ দুই ক্রিকেটারের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তামিম ইকবাল। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তামিম বলেন, ‘একটা পর্যায়ে আমরা রান তোলায় ভুগছিলাম। কিন্তু আফিফ যেভাবে ব্যাটিং করেছে, অসাধারণ লেগেছে। বল দারুণভাবে টাইমিং করছিল এবং অসাধারণ ব্যাটিংও করেছে। আমরা ৩০০ করেও ম্যাচ হেরেছিলাম। তাই আজকের ২৫০ রানকে ২০০ রান মনে হচ্ছিল। ভাগ্য ভালো আমরা দ্রুত ৫টি উইকেট তুলে নিতে পেরেছি যা আমাদের উপকারে এসেছে। আমরা ইবাদতকে দীর্ঘ সময় ধরে ওয়ানডে দলে নিয়ে ঘুরছি। কিছুটা অবাক হয়েছি তাকে এতোদিন একাদশে না দেখে। আজ তার খেলার সুযোগ ছিল এবং আমরা তাকে নিয়েছি। সে ভালো প্রতিদান দিয়েছে ভালো বোলিং করে।’
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। ধবলধোলাইয়ের লজ্জা উঁকি দিচ্ছিল। মাঠে, মাঠের বাইরে নানা আলোচনায় গোটা দলটের অ্যাপ্রোচ ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। হারারেতে শেষ ওয়ানডে জিম্বাবুয়ে জিতে নিলে তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের ওপর প্রবল চাপ পড়ত।
ব্যাটিংয়ে মাঝারিমানের পুঁজি পেলেও বোলারদের দ্যুতিময় বোলিংয়ে শেষ ম্যাচ জয় দিয়ে রাঙালো বাংলাদেশ। সঙ্গে ওয়ানডেতে নিজেদের ৪০০তম ম্যাচও জিতে নিল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে শেষ ওয়ানডেতে ১০৫ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ শেষ করলো তামিমের দল।
বাংলাদেশ ১০৫ রানে শেষ ওয়ানডে জিতলেও সিরিজ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। এই সিরিজ আইসিসি সুপার লিগের অংশ না হওয়ায় বাংলাদেশের বড় ক্ষতি হয়নি।