আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তারা
বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। অস্বাস্থ্যকর ও মাত্রারিক্ত ট্রান্সফ্যাটযুক্ত খাবার গ্রহণ, খেলা-ধূলা ও কায়িক পরিশ্রমহীন জীবন-যাপন, তামাকাসক্তি এবং স্থূলতা প্রভৃতি কারণে তরুণদের মধ্যে এসব রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত “উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ ঝুঁকি এবং আমাদের যুব সমাজ” শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা। আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে এই আয়োজনে সহযোগিতা প্রদান করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদরোগ ও মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
উল্লেখ্য, জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী দেশে মোট তরুণের সংখ্যা ৪ কোটি ৫৯ লাখ। তরুণদের সুরক্ষায় সকল প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও স্বাস্থ্যসম্মত জীবন-যাপন যেমন, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করা, ফাস্টফুড ও ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা, ধূমপান না করা, নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
ওয়েবিনারে ট্রান্সফ্যাট ঘটিত হৃদরোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকারকে “খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১” বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানানো হয়।
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার-১ ডা. ফজলে এলাহী খান, ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুমন্ত কুমার সাহা, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রাশেদ রাব্বি এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞা’র কোঅর্ডিনেটর মাহমুদ আল ইসলাম শিহাব। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যুব প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এই ওয়েবিনারে অংশ নেন।
সূত্র: মাহমুদ আল ইসলাম শিহাব, প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর, প্রজ্ঞা।