পদ্মা সেতুতে গাড়ি থামিয়ে নদীতে ঝাঁপ

পদ্মা সেতু থেকে লাফ দিয়ে নদীতে পড়ে মো. নুরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজ নুরুজ্জামানের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরিপুরের জুড়াইন গ্রামে। তিনি পেশায় একজন গার্মেন্টকর্মী। নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর উর্মি গামেন্টস কর্মরত ছিলেন।

নদীতে লাফ দেওয়ার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে পদ্মা নদীতে নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনা সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

জনা যায়, সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে পদ্মা সেতু দিয়ে বঙ্গবন্ধুর মাজারে যান নিখোঁজ মনিরুজ্জামান ও তার বন্ধু ওমর ফারুক। পরে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টার পর মাজারে ফুল দিতে না পেরে ফিরে আসেন তারা। ঢাকার পথে পদ্মা সেতু অতিক্রম করার একপর্যায়ে বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে সেতুর ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের কাছে ভাড়া করা গাড়িটি থামিয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন নুরুজ্জামান। তার এ ঝাপ দেওয়ার দৃশ্যটি অপর প্রান্ত দিয়ে যাওয়া একটি গাড়িতে থেকে ভিডিও করার সময় ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এ ভিডিওটি এরই মধ্যে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে সাথে থাকা সহকর্মী ওমর ফারুক ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে মাওয়া নৌ-পুলিশ খোঁজাখুঁজি শুরু করে।

ওমর ফারুক জানান, একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করে তারা দুই বন্ধু সোমবার সকাল ৭টার দিকে গোলালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে অনেক চেষ্টা করেও তারা ভিড়ের কারণে মাজারে ফুল দিতে পারেননি। এই দুঃখে তারা বন্ধু নুরুজ্জামান সেতুর ওপর থেকে নদীতে আত্মাহত্যার উদ্দেশ্যে ঝাঁপ দেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরা ভিডিওটিতে দেখা যায়, পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণবঙ্গ যাবার সময় গাড়ির ভেদর থেকে ভিডিও করছিলেন এক যাত্রী। চলন্ত গাড়ি থেকে করা ওই ভিডিওতে ধরা পড়ে, পদ্মা সেতুর ঢাকামুখী একটি গাড়ি সেতুর ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের কাছে থেমে রয়েছে। ওই গাড়িতে থাকা এক ব্যক্তি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে যান।

মাওয়া নৌ-পুলিশফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ওহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ তার সন্ধানে সোমবার থেকেই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে একটি ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল ও সেনা সদস্যরা উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে। এখনও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

Print Friendly

Related Posts