‘প্রধান শিক্ষক আফতাব উদ্দিনের মতো মানুষ দেখিনি। তিনি অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন। স্যারের মনও অনেক উদার ছিল। আমাদের নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতেন। তার কাছ থেকে মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও দেশপ্রেম সম্পর্ক জানতে পেরেছি। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলায়ও উৎসাহ দিতেন। আফতাব উদ্দিন আকাশের ধ্রুবতারা।’
জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মো. আফতাব উদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভায় স্মৃতিচারণে বক্তারা এ সব কথা বলেন।
আফতাব উদ্দিন ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক, জনপ্রিয় নিউজপোর্টাল রাইজিংবিডিডটকমের প্রকাশক এসএম জাহিদ হাসানের বাবা ও ওয়ালটন গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল আলম রেজভীর বড় চাচা।
তারা আরও বলেন, মৃত্যুর পূর্বে হাজার কোটি টাকা রেখে যাওয়ার চেয়ে নেক সুসন্তান রেখে যাওয়া সদগায়ে জারিয়া। শিক্ষকরা অন্যের সন্তান মানুষ করলেও অনেকের নিজের সন্তান মানুষ হয় না। তবে আফতাব উদ্দিন স্যার তার সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করেছেন। তার সন্তান এসএম জাহিদ হাসান মানুষের মতো মানুষ হয়েছেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
বাসাইল গোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রয়াত আফতাব উদ্দিনের ছাত্র সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা লিয়াকত আলী খান, ইঞ্জিনিয়ার ছানোয়ার রহমান, অ্যাডভোকেট ফায়জুর রহমান, বাসাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আলো, আব্দুল হক, সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ মিয়া, প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, ছাত্রী শামীমা খান, বাসাইল গোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
মো. আফতাব উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ তার পরিবারের সকলের মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন বাসাইল গোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাহমুদুল হোসাইন। এ ছাড়া টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর এলাকায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
স্বাধীনতার পূর্বে আফতাব উদ্দিন চার বছর বাসাইল গোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি দীর্ঘ সময় নাগরপুর যদুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৪ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন তিনি। টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষক সমিতির দুই বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নাগরপুর শিক্ষক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৯৭ সালের ২১ আগস্ট আফতাব উদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন।