চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনী গ্রামের আতিক উল্লাহ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ।
তার স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে উপার্জনক্ষম পরিবারের প্রধানকে হারিয়ে এখনো শোকে কাতর। তারা কখনোই সেই দুঃসহ স্মৃতিকে ভুলতে পাছেন না।
রোববার (২১ আগস্ট) সকালে এক সাক্ষাৎকারে আতিক উল্লাহর স্ত্রী লাইলী বেগম এই কষ্টের কথা জানান। তিনি বাবাহারা সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়েও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন।
লাইলী বেগম বলেন, ৫ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আমার দুই সন্তানকে যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ৫ বছর পার হলেও এখনো মেলেনি চাকরি। তাই এতিম সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে আমি শঙ্কিত রয়েছি। যদিও সরকারিভাবে আমরা আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আতিক উল্লাহর বড় ছেলে মো. মিথুন সরকার বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার রায় হলেও পুনরায় আপিল করায় এখন হাইকোর্টে তা বিচারাধীন। এমতাবস্থায় বিচারের রায় দ্রুত শেষ করার দাবি জানাচ্ছি। এমনকি দীর্ঘ ১৭ বছরেও এ হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য শেষ না হওয়ায় আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য, ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পরিবারেকে ১১ লাখ টাকা অনুদান দেন। এরপর পুনরায় গত ২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল আতিক উল্লাহর ৪ সন্তান ও স্ত্রীকে আরও ২৫ লাখ টাকা দেন। যা দিয়ে তাদের পরিবারে কিছুটা স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।