নাঈম শেখকে নেওয়ায় এশিয়া কাপের দল নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল আগেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তিনি রান না পাওয়ায় সমালোচনা যেন আরও জোরালো হয়েছে।
এনামুল হক বিজয় টি-টোয়েন্টিতে নিজের ছায়া হয়েই আছেন। এ ফরম্যাটে তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্নও উঠছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফ্লপ, তাই আজ দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের কাউকেই না দেখার সম্ভাবনা প্রবল।
মিরাজের এর আগে ইনিংস উদ্বোধনের রেকর্ড আছে। এশিয়া কাপের মঞ্চে ২০১৮ সালের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে লিটনের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করেছিলেন। সাব্বির তিনে ব্যাটিং করেছেন লম্বা সময়। তবে ইনিংস উদ্বোধন কোনোদিন করেননি।
তামিমের অবসর এবং লিটনের ইনজুরিতে ওপেনিং জুটি নিয়ে বেশ ভুগছে বাংলাদেশ দল। নাঈম লম্বা সময় ধরে এই ফরম্যাটে খেললেও নিজের পায়ের জমিন শক্ত করতে পারেননি। এনামুল ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্যুতি ছড়িয়ে দলে ফিরলেও বিবর্ণ আন্তর্জাতিক মঞ্চে।
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে তাদের পাঠিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু মুজিব-উর-রহমানের ক্যারম বলে ২২ গজে স্রেফ নাকানিচুবানি খেয়েছেন তারা। নাঈম এক চারে ইনিংস শুরুর পর মুজিবের বলে বোল্ড হন। এনামুল ১৪ বলে ৫ রানে বৈচিত্র্যময় স্পিনারের বলেই এলবিডব্লিউ হন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের বাঁচা-মরার। হারলেই এশিয়া কাপ শেষ, জিতলে সুপার ফোর। এমন মঞ্চে আবারও ওপেনিং জুটির পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। মিরাজ ও সাব্বিরকে ঘিরে যে বাজি ধরেছে টিম ম্যানেজমেন্ট, তা কাজে আসবে কি না সময় বলে দেবে।
আজ এশিয়া কাপে নিজেদের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে একে-অপরের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরে দুই দলই রয়েছে কোণঠাসা অবস্থায়। আজ যে দল হারবে তার জন্য এখানেই শেষ এবারের এশিয়া কাপের যাত্রা, আর জিতে গেলে সামনে সুপার ফোরের হাতছানি। এমতাবস্থায় দুই দেশের ভক্ত সমর্থকদের স্মৃতির দরজায় আবারও কড়া নাড়ছে নিদাহাস ট্রফির সেই ম্যাচ। আজকের মতো সেদিনের সেই ম্যাচটিও ছিল দুই দলের জন্য অঘোষিত ফাইনাল।