জ.ই বুলবুল: এ বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ছিল প্রতিভাবান চিকিৎসক ও কবি নাসির উদ্দিন আহমদ এর ৫০তম জন্মবার্ষিকী। দিনটিতে তার ভক্ত, বন্ধুবান্ধব, শুভাকাঙ্খী ও সহকর্মীরা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ফরিদপুর জেলা শহরের চরকমলাপুর গ্রামে ১৯৭২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নাসির উদ্দিন আহমদ এর জন্ম। তিনি বেড়ে উঠেছেন সে নিভৃত গ্রামে কুমার নদীর ভাঙন দেখে আর পলিমাটির ঘ্রাণ শুঁকে। বাবা তাজউদ্দিন আহমদ (প্রয়াত) ও মা জয়নাব বেগম।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ফরিদপুর জিলা স্কুল আর রাজেন্দ্র কলেজে। এরপর চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজের হিরন্ময় আঙিনায় ছিলো শাণিত বিচরণ। ১৯৯৯ সালে আর্মি মেডিকেল কোরে যোগদান। বিভিন্ন পর্যায়ে মেডিকেল অফিসার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মেডিসিন এফসিএস। বর্তমানে ক্লাসিফাইড মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সেনাবাহিনীর সিনিয়র লে.কর্ণেল।
চিকিৎসা বিষয়ে তার পরামর্শ ও লেখা জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও সেনাবার্তায় প্রকাশিত হচ্ছে। তিনি নিয়মিত লেখালেখির মাধ্যমে জাতীয় দৈনিক ও গণমাধ্যমে সচেতনামূলক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন। পাশাপাশি কবিতা ও প্রবন্ধ লিখে যাচ্ছেন।
নাসির উদ্দিন আহমদ এর কবিতা প্রসঙ্গে জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, প্রকৃত কবিচিত্তের অধিকারী নাসির উদ্দিন আহমদ একজন প্রকৃতই কবি। নতুন প্রজন্মের মধ্যে এমন সচ্ছল স্বতঃশ্চল কবিভাষা খুব কম দেখেছি।
ব্যক্তিগতভাবে স্ত্রী শামীমা করিম ও একমাত্র কন্যা নাওশীন নাওয়ারকে নিয়েই কাটছে তার সুখের জীবন।
চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থ:
সুস্থতার চাবিকাঠি ও কভিড ঊনিশের বিষ।
কাব্যগ্রন্থ:
জল-জলোচ্ছ্বাস, নিমেষের কিঙ্কিণী, জলহাটের কাব্য এবং তবুও আমি ঢেউ নই।
আলাপকালে তিনি বলেন, সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও সুযোগ পেলে চিকিৎসা সেবাসহ কাব্য বিশ্লেষণে বহুদুর এগিয়ে যেতে পারবো।
কবির জন্মদিনে শুভেচ্ছা।