বিয়ের নামে গাজীপুরে পোশাক কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ

গৌরাঙ্গ শীল, গাজীপুর: গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় ভাড়া বাসায় প্রেমের নামে এক পোশাক কর্মীর সর্বনাশ করেছেন কাজল চন্দ্র শীল (২৯) নামে এক প্রতারক।  এই পোশাককর্মী ভোগড়া বাইপাস এলাকারই ফার্দার ফ্যাশন লি. নামে একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
জানা যায়, পোশাক কর্মী মেয়েটির বাড়ি নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বরইকান্দি গ্রামে। তার বাবা বেঁচে নেই। মা ও ছোট দুই ভাই তাদের সংসারে রয়েছে। মেয়েটিই তাদের দেখাশোনা করেন। ঢাকায় একা থাকার সুযোগে প্রতারক কাজল সহজেই তাকে প্রতারণায় ফেলে বিয়ের প্রলোভনে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এমনকি নানা অজুহাতে টাকাপয়সাও হাতিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে পোশাক কর্মী মেয়েটি (২০) গাজীপুরের প্রতারণার কথা উল্লেখ করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণের অভিযোগে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন (সি-আর মোকাদ্দমা নং ৭১৫ – ২২ ইং)। মামলাটি বর্তমানে পিবিআইর তদন্তাধীন রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাজল কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার বাদুরপুর গ্রামের শ্যামল চন্দ্র শীল এর ছেলে।  কাজলের নিকটবর্তী আত্মীয় দোলন চন্দ্র শীলের মাধ্যমে মেয়েটির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরবর্তিতে কাজল ফোন নাম্বার যোগাড় করে ফোনালাপের মাধ্যমে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে কাজল বিবাহের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটির ভাড়া বাসাতে এসে রাত্রি যাপন করেন এবং ধর্মকে সাক্ষী রেখে বিবাহের নামে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।  এরপর আরও নানা জায়গায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে। সরল মনে বিশ্বাসের কারণে অতি কষ্টের উপার্জনের টাকাও হাতিয়ে নেয়। কাজলের আচরণে সন্দেহ হলে আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়িতে তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিলে তার প্রকৃত রূপ বেরিয়ে আসে।  কাজল মেয়েটিকে লাঞ্ছিত করে। স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না একথা বলে ভাড়া বাসা থেকে চলে যায়। এ ঘটনার পর পিতৃহীন এতিম মেয়েটি দুচোখে অন্ধকার দেখে।
বর্তমানে মামলাটির তদন্ত পিবিআই‌‍-র সাবইন্সপেক্টর শফিকুল হাসানের তদন্তাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলাটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। খুব শিগগিরই তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন।
উপরের ছবি: অভিযুক্ত কাজল চন্দ্র শীল
Print Friendly

Related Posts