সাফজয়ী ফুটবলকন্যা ১০ নম্বর জার্সিধারী সিরাত জাহান স্বপ্না আজ (বৃহস্পতিবার) পা রাখবেন নিজ জেলা রংপুরে। সোনার মেয়ে স্বপ্নাকে বরণে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে রংপুরবাসী। সংবর্ধনা জানাতে অপেক্ষার প্রহর গুনছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, বেলা ১১টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে স্বপ্নাকে অভ্যর্থনা। সেখান থেকে স্বপ্নাকে নিয়ে গাড়িবহরে রংপুর নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ। এ সময় বিভিন্ন স্থানে স্বপ্নাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করবেন ক্রীড়া সংগঠনগুলোসহ ফুটবলপ্রেমী রংপুরের মানুষ।
জেলা প্রশাসনের প্রেরিত বার্তায় জানা গেছে, দুপুর ১২টায় পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সংবর্ধনা শেষে স্বপ্না ফিরবেন সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়নের পালিচড়া গ্রামে। এই গ্রামই তার আপন ঠিকানা। সেখানে তাকে লালগালিচায় বরণ করে নেবেন গ্রামবাসী। পরে বিকেল ৪টায় তার গ্রামে দেশের একমাত্র নারী ফুটবলাদের জন্য নির্মিত শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে স্বপ্নার সম্মানে প্রীতি ম্যাচ খেলবেন সদ্যপুষ্করণী যুব স্পোর্টিং ক্লাবের খেলোয়াড়রা।
সেখানে প্রীতি ম্যাচ শেষে স্বপ্নাকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়ন পরিষদ এবং সব রাজনৈতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে।
এদিকে গরু জবাই করে সংবর্ধনা উৎসবের আনন্দ বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্বপ্নার গ্রাম পালিচড়া এলাকার নয়াপুকুর গ্রামের মানুষ।
উল্লেখ্য, সিরাত জাহান স্বপ্নারা তিন বোন। তার বড় দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। স্বপ্নার বাবা মোকছার আলী একসময় বর্গাচাষি ছিলেন। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময়ে ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে স্বপ্নার আত্মপ্রকাশ।
এরপর তার ক্রীড়ানৈপুণ্যে নজর পড়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। ২০১৩ সালে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পান স্বপ্না। সেই থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলছেন। এবার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে চার গোল করে দেশের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এই চার গোলের মধ্যে দুটিই ছিল ভারতের জালে।