ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পেসার জাহানারা আলম সাংবাদিকদের একের পর এক তীর্যক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলেন স্পষ্টভাষায়। তবে তার কাজল চোখে তাকানোই যাচ্ছিল না। শেষ দিকে যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মাইলফলক নিয়ে প্রশ্ন করা হলো, তখন তো যেন কেঁদেই দিয়েছিলেন।
তার আগে আউট হওয়ার পর নিগার সুলতানা জ্যোতি তো চোখের পানিই ফেলে দেন। ডাগআউটে দেখা যায় নিথর হয়ে বসে আছেন, চোখের কোণে পানি, তাকিয়ে আছেন একদিকে। পাশে থেকে কোচ একে এম মাহমুদ হয়তো ব্যর্থ সান্ত্বনা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এটা কি মানা যায়?
ঘরের মাঠ, বাংলাদেশ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। চেনা এই মাঠে বাংলাদেশ ৭ ওভারে ৪১ রান নিতে পারেনি। ৭ উইকেটে ৩৭ রানে থামতে হয়। ৩ রানের এই পরাজয় কোনোভাবেই মানতে পারছেন না স্বাগতিক দল। এ ছাড়া বাংলাদেশ এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলও। তাই তো জাহানারা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না এই হার।
অথচ এই জাহানারাকে দিয়েই বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা কি দুর্দান্তই না হয়েছিল। দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান পথের কাঁটা চামারি আতাপাত্তুকে। সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মাইলফলক অর্জন করেন। কিন্তু দিন শেষে বাংলাদেশের এমন হারে এসব মাইলফলক অতি তুচ্ছ।
কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে জাহানারা নিজেরর মাইফলক নিয়ে বলেন, ‘প্রথমত আমি আমি আমার স্ট্যাটস চেক করি না। আমি নিজেও জানি না আমার শততম উইকেট হয়েছে। একটু ভালো লাগা থাকলেও খারাপ লাগাটা বেশি। কারণ হোম গ্রাউন্ডে খেলা, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আমরা। যদি কোনও কারণে সেমিফাইনালে মিস করি আমাদের দলের থেকে মনে হয় না অন্য কারও খারাপ লাগাটা কাজ করবে।’
সিলেটে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৮.১ ওভারে ৭ উইকেটে ৮৫ রান করে শ্রীলঙ্কা। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৃষ্টির পর ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ ওভারে ৪১ রান। বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৩৭ রানে থামে। ৩ রানের হারে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
৫ ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট চার। এশিয়া কাপ সেমিতে উঠতে হলে তাকিয়ে থাকতে হবে ভারতের বিপক্ষে থাইল্যান্ডের হারের দিকে। আর নিজেদের জিততে হবে আরব আমিরাতের বিপক্ষে।