জ.ই বুলবুল: এই প্রথমবার শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মহানায়ক, উপমহাদেশের সুর সম্রাট খ্যাত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর নিজ জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৬০তম জন্মবাষির্কী পালন করা হয়েছে।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কেক কাটা, আলোচনাসভা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত আসরের মধ্য দিয়ে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্মবাষির্কী পালন করা হয়।
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ১৮৬২ সালের ৮ অক্টোবর নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ও সরোদবিশারদ। ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘খাঁ সাহেব’ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৫২ সালে ভারতের সংগীত একাডমি পুরস্কার পান। ১৯৫৪ সালে আকাদেমির ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালে ‘পদ্মভূষণ’ ও ১৯৭১ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’ এবং ১৯৬১ সালে তিনি বিশ্বভারতী কর্তৃক দেশি ‘কোত্তম’ উপাধিতে এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ডক্টর অব ল’ উপাধিতে ভূষিত করে আজীবন সদস্যপদ দান করেন । শান্তি নিকেতনে আমন্ত্রিত অধ্যাপক হিসাবে কিছুকাল অধ্যাপনা করেন। আলাউদ্দিন খাঁ ১৯৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের মাইহারে মদিনা ভবনে মারা যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সুরকার শেখ সাদি খান, সহকারী কমিশনার ভূমি মোশারফ হোসাইন, নবীনগর প্রেসক্লাব সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, আবু কামাল খন্দকার, গৌরাঙ্গ দেব নাথ অপু, সঞ্জয় সাহা, জ.ই বুলবুল, আব্বাসউদ্দিন হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির ইমরুল প্রমুখ।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পরিবারের সদস্য আফসানা খানম (সরোদ), রুখসানা খানম (সেতার), মমতাজ বেগম, করিম হাসান খান, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, সত্যজিৎ চক্রবর্তী (সেতার), তবলায় ছিলেন সঞ্জীব মজুমদার ও জাকির হোসেন।
এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেষে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিগণ।