রাজশাহীতে চালু হলো সিনেপ্লেক্স

শিরিন সুলতানা কেয়া: সিনেমাপ্রেমিদের আক্ষেপ কাটাতে রাজশাহীতে চালু হলো সিনেপ্লেক্স। এটি স্টার সিনেপ্লেক্সেরই আরেকটি শাখা। এর আগে স্টার সিনেপ্লেক্স ঢাকার বাইরে চলতি মাসেই চট্টগ্রামেও একটি শাখা করেছে।

এই সিনেপ্লেক্সটি করা হয়েছে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের ভেতরে জয় সিলিকন টাওয়ারে।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে জয় সিলিকন টাওয়ার ও সিনেপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন। এছাড়া জয় সিলিকন টাওয়ারে বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামেরও উদ্বোধন করেন তিনি।

ঢাকা প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহ এমপি। সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

রাজশাহীতে সিনেপ্লক্সের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল প্রমুখ।

সিনেপ্লেক্সের কাস্টমার কেয়ার অফিসার আল-আমিন জয় জানান, সিনেপ্লেক্সের ভেতরে সবকিছুই প্রস্তুত। বাইরে হাইটেক পার্কের ভেতরের কিছু কাজ বাকি আছে। তারা আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন থেকেই সিনেমা প্রদর্শনের পরিকল্পনা করে রাখছেন। তবে এটি এখনও চূড়ান্ত নয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক এই সিনেপ্লেক্সে একসঙ্গে ১৭২ জন দর্শক সিনেমা দেখতে পারবেন।

হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিনেপ্লেক্সে সিনেমার প্রদর্শনের সব ব্যবস্থায় করবে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। তবে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক প্রয়োজনেও এটি ব্যবহার করা হবে। বিভিন্ন ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের মতো প্রয়োজনে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এটি ব্যবহার করবে।

রাজশাহীতে স্টার সিনেপ্লেক্সের এই শাখা চালুর পর রাজশাহীবাসীর সিনেমা হলের আক্ষেপ মিটবে। সিনেমা হল নেই বলে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’ সিনেমাটি একটি চারতারকা হোটেলে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। সেখানেই সিনেমাটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন দর্শক। রাজশাহী শহরের উপকণ্ঠ কাটাখালী এলাকায় দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা ‘রাজ তিলক’ সিনেমা হলটিও চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন হলটির সংস্কার কাজ চলছে।

একসময় রাজশাহী শহরেই সিনেমা হল ছিলো ৬ টি। কিন্তু একে একে সবগুলো সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যায়। ভেঙে ফেলা হয় হল। সবশেষ ২০১৮ সালের অক্টোবরে ‘উপহার’ সিনেমা হল ভেঙে ফেলা হয়। ফলে সিনেমা হল শূন্য হয়ে পড়ে বিভাগীয় এই শহরটি। এ নিয়ে এতোদিন সিনেমাপ্রেমিদের আক্ষেপের শেষ ছিলো না।

 

Print Friendly

Related Posts