পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পৌষের জেঁকে বসা শীতে কাঁপছে পটুয়াখালীর জনপদ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চলে বসবাসকারীরা।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
তীব্র ঠাণ্ডায় সন্ধ্যা নামলেই গ্রামাঞ্চলের বাজারগুলোতে কমে যাচ্ছে মানুষের আনাগোনা।
এদিকে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি।
কুয়াকাটা পৌর শহরের ভ্যানচালক ইসমাইল মিয়া জানান, সকালে কুয়াকাটা থেকে পর্যটক নিয়ে গঙ্গামতি এলাকায় গিয়েছি। পর্যটকরা সূর্যোদয় উপভোগ করেছে। কিন্তু গঙ্গামতিতে যেতে আসতে ব্যাপক শীত অনুভব হয়েছে। মনে হয়েছে যেন শরীর বরফ হয়ে যাচ্ছে। আজই মনে হয় এ বছরের সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছে।
একই এলাকার মোটরসাইকেলচালক হুমায়ুন মিয়া জানান, শীতের তীব্রতা এতোটা বেড়েছে যে মোটরসাইকেল ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে। বর্তমানে অনেক মোটরসাইকেলচালক জ্বর ও ঠান্ডা জনিত রোগে ভুগছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, আগামী এক সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে পারে।