আইপিএলের টানা দ্বিতীয় শিরোপার অনেক কাছেই ছিল গুজরাট টাইটানস। তবে নাটকীয় ম্যাচে শেষ বলে চার মেরে দলকে শিরোপা এনে দেন চেন্নাইয়ের অলরাউন্ডার জাদেজা। দল ফাইনালে গিয়ে হারলেও গুজরাট ব্যাটসম্যান শুভমান গিল জিতেছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পুরস্কারসহ তিন পুরস্কার।
চলতি আইপিএলে ব্যাটিংয়ে তাণ্ডব দেখিয়েছেন গিল। আইপিএলের ১৬তম আসরে ১৭ ম্যাচ খেলে ৫৯.৩৩ গড় ও ১৫৭.৮০ স্ট্রাইক রেটে ৮৯০ রান করেছেন ভারতীয় এই ওপেনার। তিনটি শতরানের সঙ্গে রয়েছে চারটি অর্ধশতকও। এদিকে শুধু সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পুরস্কারই নয়, গিলের হাতে উঠেছে এই মৌসুমের ‘গেম চেঞ্জার’ এবং ‘সবচেয়ে মূল্যবান ক্রিকেটারে’র পুরস্কারও। এছাড়াও, আসরে সর্বোচ্চ ৮৫টি চার মেরে সেই পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। এই চার পুরস্কার থেকে তার পকেটে গিয়েছে ৪০ লাখ টাকা।
এদিকে গুজরাটের পেসার মোহাম্মদ শামি জিতেছেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির পুরস্কার। এবারের আইপিএলে ১৭ ম্যাচ খেলে ২৮ উইকেট পেয়েছেন ভারতের এই ফাস্ট বোলার। এমন কীর্তির জন্য শামি পেয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ টাকা।
২০২৩ আইপিএলের উঠতি প্রতিভা (ইমার্জিং প্লেয়ার) হয়েছেন রাজস্থানের জয়সওয়াল। ১৪ ম্যাচে ৬২৫ রান করা এই তরুণ ক্রিকেটার এরই মধ্যে ভারতীয় দলেও ডাক পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল দলে সুযোগ পেয়েছেন জয়সওয়াল। তিনিও পেয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ টাকা।
প্লে অফ কিংবা ফাইনালে না উঠেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অজি ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল জিতেছেন আইপিএলের সবচেয়ে ভালো স্ট্রাইক রেটের পুরস্কার। এবারের আসরে তিনি ১৮৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। সবচেয়ে লম্বা ছক্কা মারার পুরস্কার পেয়েছেন ম্যাক্সওয়েলের সতীর্থ ও বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে তিনি ১১৫ মিটার লম্বা ছক্কা মেরেছিলেন।
প্রতিযোগিতার সেরা ক্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন গুজরাটের রশিদ খান। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে তার নেয়া ক্যাচ সেরা বিবেচিত হয়েছে। এ ছাড়া এবারের আইপিএলের ফেয়ার প্লে পুরস্কার পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।