দেশে ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ভাইরাসটির পিক টাইম আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
এডিসের শিকার অধিকাংশই দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত তাই জটিলতাও বেশি। এ অবস্থায় স্বপ্রণোদিত চিকিৎসা বা ওষুধ সেবন না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
দুই বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো ডেঙ্গু আক্রান্ত এক যুবক রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি। তবে এবারের অভিজ্ঞতা আগেরবারের থেকেও তিক্ত। এ বছর জ্বরের তিন দিনের মাথায় শুরু হয় নানা জটিলতা। শেষ পর্যন্ত ভর্তি হন হাসপাতালে। প্রায় একই রকম অভিজ্ঞতা চলতি বছরের অন্যান্য ডেঙ্গু রোগীদেরও।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, দেশে প্রথম ডেঙ্গু ছড়ায় ২০০০ সালে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ২০১৯ সালে। আক্রান্ত হন ১ লাখের বেশি মানুষ আর মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের। তবে রেকর্ডসংখ্যক মৃত্যু হয় গত বছর ২৮১ জনের। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮ হাজার। মারা গেছেন অর্ধশত।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালের আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর এ দুই মাসে আক্রান্ত হন প্রায় ৭০ হাজার আর মারা যান ১০৮ জন। ২০২১ সালেও আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরই ছিল পিক টাইম। যদিও গত বছর ডেঙ্গু মাথাচাড়া দেয় অক্টোবর এবং নভেম্বরে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ২৪ বছর ধরে কাজ করছি। সফলতা নেই। ভাইরাসটির পিক টাইম আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহের আশঙ্কা। এ অবস্থায় আক্রান্তদের স্বপ্রণোদিত চিকিৎসা বা ওষুধ সেবন না করার পরামর্শ তার। সবাইকে এ নিয়ে সচেতন হতে হবে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল রউফ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম একই কথা বলেছেন। জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেও জানান তারা।
চলতি বছর সরকারি হাসপাতালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, এমন তথ্য জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।