দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এমন ইঙ্গিত পেয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম এবং তার মেয়র মা জায়েদা খাতুন।
সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান দুজন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ১০ মিনিটের সাক্ষাৎ হয় মা-ছেলের।
জানা গেছে, গাজীপুরের মেয়র হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দুপুরে গণভবনে যান জায়েদা খাতুন। সঙ্গে নিয়ে যান ছেলে জাহাঙ্গীরকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে প্রথমে কুশলাদি বিনিময় হয়। অন্যান্য আলাপের মাঝে জাহাঙ্গীরের প্রসঙ্গ তোলেন জায়েদা খাতুন। এসময় জায়েদা খাতুন বলেন, আমার ছেলেতো আপনার ছেলে (জাহাঙ্গীর)। ‘আপনার ছেলেকে আপনার কাছে নিয়ে এসেছি।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী জাহাঙ্গীরকে কাঁদতে নিষেধ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাও সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করো। আমি দেখব।’
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার মা আমাকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন। তিনিও আমার মা। সন্তান হিসেবে মায়ের কাছে গিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে তা জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, দেখবেন।
গাজীপুরের মেয়র জায়েদা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, গাজীপুরের উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। গাজীপুরের মানুষের জন্য কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন। উন্নয়নের জন্য তার সহায়তা চেয়েছি। তিনিও সকল সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুর সিটিতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেয়র হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর আলমের কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধ ও বীর শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করার একটি গোপন অডিও ভিডিওর অভিযোগে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মেয়র জাহাঙ্গীরকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার এবং মেয়র পদ থেকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। গত ২৫ মে গাজীপুর সিটির অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে নিজে প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন বাতিল হলে মা জায়েদা খাতুনকে মেয়র প্রার্থী করে তাঁর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে আবারও জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগ থেকে পুনরায় বহিষ্কৃত হন।