উন্মুক্ত হলো গাজীপুর-এয়ারপোর্ট রুটের ৭টি ফ্লাইওভার

গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের আওতাধীন বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট রুটের ৭টি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

রোববার (২৪ মার্চ) সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সভাকক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ফ্লাইওভার ৭টির উন্মুক্ত করেন।

গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের আওতায় বিআরটি, গাজীপুর -এয়ারপোর্ট রুটের কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। ৪ হাজার ২শ ৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা বাজেটের এই প্রকল্পটির কাজ ১২ বছর পর ৯১ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আজ এই প্রজেক্টের ৮টি ফ্লাইওভারের মধ্যে ৭টি উন্মুক্ত করা হলো। তবে প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ চলতি বছরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

ফ্লাইওভারগুলো হলো, ৩২৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাম পার্শ্ব), ৩২৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান পার্শ্ব), ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের জসীমউদ্দিন ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউ-টার্ন-১ গাজীপুরা ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের ভোগড়া ফ্লাইওভার ও ৫৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের চৌরাস্তা ফ্লাইওভার।

এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে উদ্বোধন নয় উন্মুক্ত করা হলো ৭টি ফ্লাইওভার। এগুলো উন্মুক্তের ফলে এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে৷ বিগত দিনে ঈদের সময় গাজীপুরে যে ভোগান্তি হয় এবার আর তা হবে না। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের ৯১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এবছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বিআরটি প্রকল্পের বাস চলাচল করবে।

তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের কারণে বছরের পর বছর ভোগান্তি হয়েছে। আশা করি আর হবে না। আমিও নিজেও অন্তত ৫০ বার এই প্রকল্প দেখতে এসেছি। এসময় তিনি সরকারের উন্নয়ন নেতিবাচকভাবে না নিয়ে একটু ভাবুন। দেখুন এতোগুলো প্রজেক্ট হয়েছে, এরমধ্যে একটি প্রজেক্টে একটু সমস্যা হয়েছে। এটি আমরা স্বীকারও করেছি এবং সমস্যাটি কোথায় সেটিও বলেছি।

এসময় গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান, বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক (সড়ক) এ এসএম ইলিয়াস শাহ্, বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক (সেতু) মো. মনিরুল ইসলাম খান, ঢাকা সড়ক সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন, বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান, মো. জাকির হোসেন ও আব্দুর রহমান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ( ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Print Friendly

Related Posts