ইফতেখার শাহীন, বরগুনা: গত কয়দিন ধইর্যাই গরম খুব বাড়ছে। তয় এবারগো মতো গরম আর পড়ে নাই। রাস্তায় নামলেই শরীলডা রৌদে পুইড়্যা যায়। হ্যারপরও ঘরে বইয়্যা থাহার উপায় নাই। প্রচন্ড গরমের মধ্যেও কামের লইগ্যা বাইরে বাইর অইতে অয়। মোরা দিনমজুর একদিন কাম না করলে খামু কি ? ক্যামনে সংসার চালামু?
কথাগুলো বললেন বরগুনা সদরের গৌরিচন্না ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামের দিন মজুর রুস্তুম আলি।
গত কয়েক দিন ধরে তীব্র তাপদাহ চলছে দেশ জুড়ে। দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনা জেলায় মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা বিরাজ করায় চরম দুর্ভোগে দিশাহারা হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। চলমান তীব্র তাপদাহের কারণে হিট ষ্ট্রোকের পাশাপাশি পেটের পীড়া, জ্বর, সর্দিকাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, পানিশূন্যতা, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগ বেড়েছে। চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় রিকশা চালান ৫০ বছর বয়সী আনছার মৃধা। তিনি বলেন, প্রতি বছরই গ্রীস্মের সময়টাতে রিকশা চালাতে কষ্ট হয় তার। তবে এ বছর তীব্র তাপদাহের কারণে রিকশা চালানো আরও বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। তারপরও জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন কাঠফাটা রোদের মধ্যে রাস্তায় নেমে প্যাডেল ঘুরিয়ে অর্থ উপার্জন করতে হচ্ছে তাকে। তানাহলে পরিবারের সকলকে নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।
একই অবস্থা বাসচালক, লেগুনা চালকসহ শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের সকল মানুষের। তাপদাহ এসব মানুষের কষ্টের জীবনকে আরও কষ্টকর করে তুলেছে।
গেলো সাত দিন ধরে বরগুনা জেলায় ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এর মধ্যে থাকছে । যা আরও কয়েকদিন অব্যহত থাকতে পারে, বলছে আবহাওয়া অফিস