১৩ বছর পরেও কেন প্রাক্তন স্বামীর পদবি জয়া আহসানের

কেরিয়ারের শুরুতে প্রেম করে বিয়ে। ঢাকার জমিদার পরিবারে ১৩ বছর সংসার করার পরে বিচ্ছেদ। আজও প্রাক্তন স্বামীর পদবি পরিত্যাগ করেননি। জয়া আহসানের জীবনে কতটা জুড়ে রয়েছেন প্রাক্তন? বিচ্ছেদের ১৩ বছর পরেও কেন প্রাক্তন স্বামীর পদবি ব্যবহার করেন জয়া আহসান?

জয়া আহসান দুই বাংলায় জনপ্রিয়তার শিখরে থাকা অভিনেত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কৌতূহলী তার অনুরাগীরা।

কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে জয়া আহসান বলেন, প্রেম নিয়ে কিছু বলা যাবে না। প্রেমের কথা বলতে গেলেই গন্ডগোল হয়ে যাচ্ছে। প্রেম ও বিয়ে নিয়ে দীর্ঘ দিন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অভিনেত্রী। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি বেসরকারি চ্যানেলে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন জয়া।

তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে নিজের জীবন পুরোদমে উপভোগ করছেন। তার মতে, পরিবার শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয় অথবা জীবনে কোনও সঙ্গী হলেই হয় না। জয়ার পরিবারে আরও অনেকেই আছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বললেন, আমার পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যে সব লোক কাজ করেন, তারাও আছেন। আমার চারপেয়ে পোষ্য আছে।

১৯৯৮ সালে ঢাকার জমিদার পরিবারের ফয়সাল আহসানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন জয়া। তখন জয়া মাসুদ থেকে হয়ে ওঠেন জয়া আহসান। সেই সময় ফয়সাল বাংলাদেশে খ্যাতনামা মডেল ও অভিনেতা। তার মহিলা অনুরাগীর সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৩ বছর সংসার করার পরে ২০১১ সালে দাম্পত্যে চিড় ধরে। তার পরে বিচ্ছেদের পথে এগিয়ে যান তারা। কিন্তু তার পর পরস্পরকে নিয়ে কখনও নেতিবাচক মন্তব্য করেননি প্রাক্তন এই দম্পতি।

ফয়সাল রূপোলি পর্দার সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন। তবে ফয়সাল অন্তরালে চলে গেলেও জয়া চুটিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে অভিনয়টাই তার কাছে সব কিছু। ঠিক কী কারণে বিচ্ছেদ হয়েছিল তা নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি তারা। তবে বিচ্ছেদের এত বছর পরেও প্রাক্তন স্বামীর পদবি জুড়ে রেখেছেন নিজের নামের সঙ্গে।

বর্তমানে নিজেকে ‘সিঙ্গল’ বলে দাবি করেন জয়া আহসান। তা হলে কি কখনওই দ্বিতীয় বারের জন্য ছাঁদনাতলায় যাবেন না অভিনেত্রী? এই প্রসঙ্গে জয়ার বক্তব্য, আমি তো কোনও কিছু পরিকল্পনা করে করি না। যদি মনে করি যে, সিঙ্গল থেকে ‘ডাবল’ হতে চাই, আমার তার দরকার আছে, তখনই হব। তবে এই মুহূর্তে আমার সেই রকম কোনও পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভাল আছি, শান্তিতে আছি।

Print Friendly

Related Posts