মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় মাটি ভর্তি বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন সাড়ে তিনশর বেশি যাত্রী।
মঙ্গলবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাটের অদূরে শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দুর্ঘটনার সময় মাটিভর্তি বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপাগামী এম ভি পূবালী-৯ লঞ্চের তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করলে চালক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে লঞ্চটি তীরে নোঙর করান। ফলে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান যাত্রীরা। ঘটনার সময় যাত্রীদের চিৎকারের শব্দ পেয়ে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে একাধিক ট্রলার ছুটে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধারে এগিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে যাত্রীরা লঞ্চ ও নদীর তীরে অবস্থান করছেন। ঢাকা থেকে এম ভি পূবালী নামের অপর একটি লঞ্চ রওনা হয়েছে। সেটি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটকে পড়া যাত্রীদের নিয়ে রাতেই পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
অন্যদিকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও রাত ১১টা পর্যন্ত দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের পশ্চিম মুক্তারপুরস্থ শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর তীরে নোঙর করা ছিল। সেখানে অবস্থানরত যাত্রীরা এখনও নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে না পেরে উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ডুবে যাওয়া বাল্কহেডে থাকা ৫ শ্রমিক সাঁতার কেটে তীরে উঠেছেন। আর লঞ্চের তলা ফেটে যাওয়ায় তা তীরে নোঙর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর কাজ করছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যাত্রীবাহী লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে পটুয়াখালীর চরমুলতান এলাকায় যাচ্ছিল। পথে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের অদূরে ধলেশ্বরী নদীতে নোঙর করা মাটি বোঝাই এম ভি রাজিন বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায় এবং লঞ্চের সামনের অংশের তলা ফেটে গিয়ে পানি উঠতে শুরু করে।
মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাজ্জাদ করিম গণমাধ্যমকে জানান, যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি পূবালী-৯ কে নিরাপদে তীরে নোঙর করা হয়।