বিশ্বকাপের পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হার। এরপর ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিংয়ে দৈন্যদশা। আশার আলো দেখাতে পারছিল না টপ অর্ডার। সব কিছু মিলিয়ে চলতি আসর শুরুর আগেই বাংলাদেশ দল নিয়ে হতাশ ছিল সমর্থকরা। তবে আজ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে এসে স্বস্তির জয় পেয়েছে শান্তর দল। যদিও ব্যাট হাতে টপঅর্ডারদের পারফরম্যান্স হতাশ করেছে সমর্থকদের।
প্রায় প্রতি ম্যাচেই পাওয়ারপ্লের মধ্যেই টপ অর্ডার ড্রেসিংরুমে ফেরায় শুরুতেই চাপে পড়ে দল। টপ অর্ডার যেন তাসের ঘর! আজ লঙ্কানদের বিপক্ষেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ১২৫ রানের মামুলি লক্ষ্যে নেমেও ২৮ রানে তিন টপঅর্ডারকে হারায় বাংলাদেশ।
প্রথম ওভারেই সৌম্যকে হারায় বাংলাদেশ।এবার কোনও রান না করেই আউট হয়ে গেছেন তিনি। সব মিলিয়ে ৮৩ ইনিংসের ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১৩ বার শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। এতে বিব্রতকর এক রেকর্ডে নাম উঠে গেছে সৌম্য সরকারের। টি-টোয়েন্টিতে তার চেয়ে বেশি খালি হাতে ফেরার নজির নেই আর কোনো ব্যাটসম্যানের।
তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিমও ভরসার প্রতিদান দিতে পারেনি। ৩ রান করেছেন মাত্র। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর জন্য রানে ফেরার ভালো মঞ্চ ছিল কিন্তু তিনিও ১৩ বলে ৭ রান করে ক্যাচ তুলে দেন। সাকিব আল হাসান এই ম্যাচে প্রথমে বল হাতে ও পরে ব্যাট হাতে হতাশ করেছেন। পাওয়ারপ্লেতে বল হাতে নিয়ে প্রথম ২ ওভারে দিয়েছিলেন তিনি ২৪ রান, পরে মোট ৩ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতে সাকিব ১৪ বল খেলে নিয়েছেন মাত্র ৮ রান, কখনোই উইকেটে সেট মনে হয়নি তাকে।
তবুও বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য এটা একটা স্বস্তির জয়। তবে এমন ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইনআপ দিয়ে এই বিশ্বকাপে কতদূর যাবে বাংলাদেশ, তা হয়তো সময়ই বলে দেবে। যদিও এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতি সমর্থকদের প্রত্যাশা একেবারেই কম।