দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে দেশে আসতে পারেন সাকিব আল হাসান। শেষ টেস্টে এই অলরাউন্ডারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে প্রথম টেস্ট খেলে অবসরে যেতে চান সাকিব আল হাসান। কিন্তু তার নামে মামলা হওয়ায় দেশে আসা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচটা তিনি ঘরের মাটিতে খেলতে পারবেন কি না তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।
তবে রোববার (১৩ অক্টোবর) বিসিবিতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘একজন ক্রিকেটার তিনি খেলবেন এবং তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। তার আসার ক্ষেত্রে তো কোনও বাধা দেখি না আমি। তবে দেয়াল লিখনের যে কথা বলছেন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখছি, এটা তো আসলে আবেগের ব্যাপার। তাদেরও অধিকার আছে। তবে এক্ষেত্রে আমার আহ্বান থাকবে কারও নিরাপত্তা যেন হুমকির মুখে না ফেলি।’
‘যদি আইনগত কোনো বিষয় থাকে, আইন তো আইনের গতিতে চলে। এ বিষয়ে তো আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। তবে নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিৎ। যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা আসবে, আমাদের পরিবেশটাও ভালো রাখতে হবে। না হলে বাইরের দেশগুলো বাংলাদেশে আসতে নিরাপত্তার অভাবটা অনুভব করবে।’
ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকায় ক্ষমা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। এরপর থেকে দুই ভাগে বিভক্ত ক্রিকেট ভক্তরা। অনেকেই সাকিবকে মিরপুরে টেস্ট খেলতে দেয়ার পক্ষে নন। তার বিরোধিতা করে ক্রিকেট বোর্ডের দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের চিত্র ও স্লোগান লিখেছেন সমর্থকরা। পাল্টাপাল্টি স্লোগান লিখেছেন সাকিববিরোধী ভক্তরাও।
এসব কারণে বিসিবিতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। সকাল থেকে স্টেডিয়াম এলাকায় উপস্থিত স্বশস্ত্র বাহিনী। মহড়া দিয়েছেন সশস্ত্রবাহিনীর যৌথ টিম। বিষয়গুলো নিয়ে বিসিবি কার্যালয়ে বোর্ড কর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন পর্যন্ত দেশে ফেরেননি সাকিব। যদিও এই সময়ে ঘরের মাটিতে বাংলাদেশও কোনও ম্যাচ খেলেনি। তবে ভারত সিরিজ চলাকালীন কানপুরে টেস্ট ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন এই অলরাউন্ডার। সবকিছু ঠিক থাকলে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়েই বিদায় নেবেন তিনি। আর তা যদি না হয়, তাহলে হয়তো ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিই তার শেষ ম্যাচ হয়ে থাকবে।
গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব। তাছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি নীরব থাকায় ক্ষুব্ধ হন অনেকেই। যদিও সে কারণে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুঃখপ্রকাশ করেছেন সাকিব।