জ ই বুলবুল: বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের’ (বিএনএফ) এর ২০ তম দিবসটি।
দিবসটির নানা কর্মসূচির আয়োজন উপলক্ষে সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানী মহাখালীর (বিআইএ) ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল আহসান সভাপতি থেকে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- পরিচালনা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, সাবেক এনবিআর এর চেয়ারম্যান ও সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, পরিচালনা পরিষদের সদস্য ড.ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ ইনসিওরেন্স একাডেমির পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) যুগ্মসচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন,( বিএলএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জিল্লুর রহমান এনডিসি, পরিবীক্ষণ উপদেষ্টাবৃন্দ, বিএনএফ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা শেষে কেক কাটা হয় এবং পারফরমেন্স ক্যাটাগরিতে ৪টি, উদ্ভাবনী/বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ক ক্যাটাগরিতে ৩টি এবং নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক ক্যাটাগরিতে ৩টি সহযোগী সংস্থাকে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে। সহযোগী সংস্থাসমূহ সমগ্র দেশে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এ দিবস পালন করে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ২০০৪ সালের ২ ডিসেম্বরে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে কোম্পানি আইনে নিবন্ধিত হয়ে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে।বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীনে একটি স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি অর্থে পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণের দারিদ্র্যবিমোচন ও জীবনমান উন্নয়নে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ের সহস্রাধিক সহযোগী সংস্থা (এনজিও) এর মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন সহায়তা, আয় বর্ধনমূলক কর্মসূচি, পরিবেশ সুরক্ষা, কৃষি ও অকৃষি, ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে। বিএনএফ এসডিজি এর ৯টি গোল বাস্তবায়ন ছাড়াও বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। উল্লেখ্য যে, প্রতিষ্ঠাকাল ডিসেম্বর ২০০৪ সাল হতে ৩০ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সর্বমোট প্রায় ১৯৭ কোটি টাকা প্রকল্প অনুদান প্রদান করার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ২১ লক্ষ দরিদ্র পরিবার উপকৃত হয়েছে। এছাড়া, পল্লী এলাকায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সিএমএসএমই খাতে ২৭টি সহযোগী সংস্থার অনুকূলে প্রায় ৭৬.৪০ কোটি টাকা প্রণোদনার ঋণ প্রায় ৫,৭২৩ জন গ্রাহকের অনুকূলে বিতরণ করা হয়েছে।
সর্বোপরি তাদের কাজের খোঁজ খবর নিয়ে গঠন মুলক মতামত ও প্রশংসা করেন প্রধান অতিথি।