এলো ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫। নতুন সালকে স্বাগত জানান, সাদরে বরণ করুন। সাদরে গ্রহণের প্রস্তুতি নিন।
জীবন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে থাকে। এই পরিবর্তন কখনো প্রত্যাশিত আবার কখনো অপ্রত্যাশিত। তবে যেকোন পরিবর্তনেও মনে রাখা প্রয়োজন ‘আমি কে?’।
আধ্যাত্মিক নেতা রাম দাস একটি গল্প বলেন, গল্পটি হলো সমুদ্রতীরের দিকে ছুটতে থাকা দুটি ঢেউয়ের গল্প। যেগুলোর মধ্যে একটি বড়, একটি ছোট। দুইটি ঢেউই তীরের দিকে ছুটে যায়। বড় ঢেউটি দেখতে পায় আর একটু এগোলেই তীর। সামনের বড় ঢেউগুলো তীরে আছড়ে পড়ছে। এই দেখে বড় ঢেউটি ছোট ঢেউটিকে সতর্ক করে দেয়। কিন্তু ছোট ঢেউটি বিষয়টি খুব স্বাভাবিক মনে করে। ঢেউটি বলে, ‘ভেবো না। আমাদের কিচ্ছু হবে না।’ বড় ঢেউটি ছোট ঢেউটির কথায় সন্তুষ্ট হয় না। ঢেউটি বোঝায়, ‘তুমি বুঝতে পারছ না। আমাদের দিন শেষ হয়ে আসছে।’ এই শুনে ছোট ঢেউ ধীরে বলে, ‘না। কখনোই নয়। কেন জানো? কারণ, তুমি ঢেউ নও, তুমি পানি।’ এর অর্থ হলো কেউ যখন নিজের মূল পরিচয় জেনে যায় তখন সে বিশ্বাস করে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দিতে পারে না। বছরের শুরুতেই এই মানসিকতা ‘সেট’ করে নিতে পারেন।
আতশবাজি ফুটিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর যে প্রচলন শুরু হয়েছে তা আদতে ভয়াবহ শব্দ দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন বছরের প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই অনেক পাখি মরে যায়। এই দিনটি অনেক পশুপাখির জন্য মৃত্যুদিন হয়ে আসে। বন্ধু-বান্ধব- আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের আতশবাজি ফোটাতে অনুৎসাহিত করতে পারেন। নিজে আতশবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকতে পারেন।
নতুন বছরের প্রথম দিনটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপন করুন। এই দিনে পছন্দের খাবার খেতে পারেন। বন্ধুদেরকে বাসায় আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। ইনডোর গেমের আয়োজন করতে পারেন।
নতুন বছরে নতুন বই পড়া শুরু করতে পারেন। একটি ভালো বই পড়া মানে একটি দূর ভ্রমণের সমান। বিনোদনের উৎস হিসেবে শুধুমাত্র ইলেকট্রিক ডিভাইসের ওপর নির্ভর না করে বই পড়তে পারেন। এতে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়বে, কল্পনাশক্তি বাড়বে, মনোযোগ বাড়বে। একই সঙ্গে জানার পরিধি বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
যে মানুষটি আপনার উপস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হয়, যে মানুষটি আপনার জীবনের অংশ তাকে সময় দিন। তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। ‘মনোযোগ’ বিষয়টি এমন যে সম্পর্কে গভীরতা তৈরি করে দিতে পারে।
নতুন বছরে পুরনো বন্ধুদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়ে সম্পর্কটি সতেজ করে তুলুন। যাদের প্রতি রাগ আছে, অভিমান আছে তাদেরকে ক্ষমা করা যায় কিনা সম্ভাব্যতা নিয়ে ভাবুন। সম্ভব হলে ক্ষমা করুন।