কিভাবে ভোলা হানাদার মুক্ত, জানালেন নিরব মোল্লা

মোকাম্মেল হক মিলন : ১০ ডিসেম্বর ভোলা হানাদার মুক্ত দিবস। এই দিনে ভোলার ওয়াপদা থেকে পাকহানাদার বাহিনী সদস্যরা পালিয়ে যায়। পাকবাহিনী সদস্যরা ভোলা খালের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করতে করতে যায়। বীর মুক্তিযোদ্ধা তাদের ধাওয়া করলেও কিছু করতে পারেনি।

জানা যায়, এই গান বোটটি চাঁদপুরের কাছাকাছি গেলে মিত্র বাহিনী উপর থেকে গুলি ও বোমাবর্ষণ করে বিস্ফোরণ ঘটায় এবং বোটটি ডুবে যায়।

ভোলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মাহাবুবু আলম নিরব মোল্লা জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় বোরহান উদ্দিন দেউলা তালুকদার বাড়ি এলাকায় পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ হয়। বাংলাবাজার এলাকায়ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বোপরি ভোলায় পাকবাহিনী সদস্যরা ছড়িয়ে থাকলেও বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে দেশের বিজয়ের ঊষালগ্নে ঢাকা থেকে সংবাদ পেয়ে ভোলা থেকে পাকবাহিনী সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার সময় এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণ করতে করতে যায়। সেই থেকে ভোলা মুক্ত দিবস পালন করে আসছি।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ হয়েছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ যুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts