প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় খুন, আদালতে ওবায়দুল

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিসাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এ মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল খান (২৯)। গতকাল সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবিব তাঁর খাসকামরায় ওবায়দুলের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত।

 

গতকাল ওবায়দুল খান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় ছয় দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার এক দিন আগেই তাঁকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন আদালতে ওবায়দুলের জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন।

 

পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, জবানবন্দিতে ওবায়দুল খান হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

 

আদালত সূত্র বলেছে, আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ওবায়দুল হত্যার বর্ণনা দেন। তিনি জবানবন্দিতে বলেন, সুরাইয়া আক্তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি যে দরজির দোকানে কাজ করতেন, সেই দোকানে কয়েক মাস আগে একটি জামা বানাতে দিয়ে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন নম্বর দিয়েছিল সুরাইয়া। তিনি সেই নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করে প্রায়ই সুরাইয়াকে বিরক্ত করতেন। গত ২৪ আগস্ট প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলের সামনের পদচারী-সেতুতে তিনি সুরাইয়াকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

 

সুরাইয়া ২৪ আগস্ট পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরার জন্য স্কুলের সামনের পদচারী-সেতু দিয়ে সড়কের ওপারে যাওয়ার সময় ছুরিকাহত হয়। ২৮ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সুরাইয়ার মা তানিয়া হোসেন রমনা থানায় ওবায়দুলকে আসামি করে মামলা করেন।

 

৩১ আগস্ট সকালে ওবায়দুলকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় বাজার থেকে স্থানীয় মানুষের সহায়তায় পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাঁকে ঢাকায় আদালতে হাজির করে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts