মেট্রো নিউজ : যতক্ষণ বুকের বাঁদিকে ধুকপুকুনিটুকু থাকে ততক্ষণই মানুষের যা কিছু আমোদ-আহ্লাদ। মৃত্যুর পর জীবনের সঞ্চিত কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে না মানুষ।কথায় বলে, টাকা পয়সা কি সঙ্গে যাবে!
কিন্তু এই চিরন্তন সত্যটাকেই ভুল প্রমাণ করতে চাইলেন চিনের এক ব্যক্তি।শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির দেহের সঙ্গে পুড়িয়ে দেওয়া হল তাঁর সারা জীবনের সঞ্চয়ও।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নিজের পরিবারের লোকজন, বিশেষ করে দুই ছেলের আচরণে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন চিনের পূর্বে জিয়াঙ্গসু এলাকার পেশায় কৃষক তাও নামে ওই ব্যক্তি। দশ বছর আগে ছেলেদের মধ্যে জমিজমা ভাগ করে দিয়ে মফস্বলে একটি ছোট বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন তিনি। তাঁর দুই ছেলে তাঁর দেখাশোনা করত না। বয়স হয়ে যাওয়ায় বেশি পরিশ্রমও করতে পারতেন না তিনি। বহুবার বলা সত্ত্বেও ছেলেরা কোনও সাহায্য করত না তাঁকে। শেষবয়সে এসে এই ধাক্কা খেয়ে তিনি উইল করে যান। সেখানে তিনি বলে গিয়েছেন, তাঁর সারা জীবনের সঞ্চয় ৩৩ হাজার মার্কিন ডলার যেন তাঁর মৃত্যুর পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
যেখানে ওই কৃষকের শেষকৃত্য হয়, সেখানকারই এক কর্মী ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনা দেখে প্রথমে তিনি হতবাক হয়ে যান। তিনি দেখেন, চুল্লিতে ওই ব্যক্তির শেষকৃত্যের সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার নোটও পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। ওই কর্মীই সংবাদমাধ্যমের কাছে ঘটনাটি জানান।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন,জীবনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ভেবে তাও মৃত্যুর দিন শোকের চিরাচরিত পোশাকও পরেন।
ভাড়া বাড়িতেই মারা যান তাও। শেষকৃত্য স্থলে তাঁর দেহ অবশ্য নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর দুই ছেলেই। বাইরে অপেক্ষা করার সময়ই তাঁরা লক্ষ্য করেন, এক অজানা ব্যক্তি তাঁদের বাবার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ২১০,০০০ ইউয়ান (৩৩ মার্কিন ডলার) পুড়িয়ে দিচ্ছেন।