বিডি মেট্রোনিউজ ।। আগামী ১৪ ডিসেম্বর সোমবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং আগামী ১৬ ডিসেম্বর বুধবার মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৬টা ১৫মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবনে কালোপতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টা ৩০মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত এবং সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গনের কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গনের স্মৃতিসৌধ ও বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধে পুস্পপস্তবক অর্পণ, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যাত্রা, সকাল ১১টায় উপাচার্যের সভাপতিত্বে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আলোচনা সভা। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা।
মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ প্রধান প্রধান ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টা ৩০মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত এবং সকাল ৬টা ৩৫মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যাত্রা।
বিজয় দিবস উপলক্ষে টিএসসি, কলাভবন, ও কার্জন হলে আলোকসজ্জা করা হবে। ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছায়ানটের উদ্যোগে বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে বিজয় উৎসব। বিকেল ৩টা ৫০মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় সংগীত গাইতে গাইতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ৪০ মিনিট ধরে চলবে এই অনুষ্ঠান।
আয়োজনে অংশ নেবে ছায়ানট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগসহ দেশের প্রায় ৪ হাজার নবীন-প্রবীণ শিল্পী।
এ ছাড়া, হলসমূহে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর কর্মসূচির অংশ হিসেবে “যুদ্ধাপরাধী মুক্ত বাংলাদেশ চাই” শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজয় র্যালি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার একথা বলা হয়।