হায়রে ফেসবুক!!

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক চার বছর আগে বিয়ে হয় রাকেশ (৩৪) ও সোনালির (২৮)। বেশ ভালোই চলছিল সংসার। কিন্তু ফেসবুকে সবকিছু শেয়ার করার বাতিক ছিল সোনালির। শেয়ার করতেন দাম্পত্য জীবনেরও অনেক কিছু। এতেই ক্ষুব্ধ হন রাকেশ। এর জের ধরে হত্যা করেন সোনালিকে, পরে তিনিও আত্মহত্যা করেন।

ভারতের পুনে শহরে গত বুধবার এ ঘটনা ঘটে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, পুনে শহরে থাকতেন রাকেশ ও সোনালি। তাঁদের সন্তান ছিল না। গত বুধবার সোনালিকে ফোন করে পাচ্ছিলেন না তাঁর ভাই। কয়েক ঘণ্টা ফোনে সাড়া না পেয়ে রাতে সোনালির ভাই হাজির হন রাকেশ-সোনালির বাসায়। দরজা বন্ধ দেখে অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে; দেখা যায় রশিতে ঝুলে আছেন রাকেশ, আর বিছানায় পড়ে আছে সোনালির নিথর দেহ। উদ্ধার করা হয় রাকেশের লেখা চিরকুট। চিরকুটের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, রাকেশ সোনালিকে হত্যার পরে আত্মহত্যা করেছেন—এ বিষয়ে তারা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে এ বিষয়ে আরও তদন্ত চালিয়ে দেখা হবে। পরে পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

বার্তা সংস্থা পিটিআইকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আত্মহত্যার আগে চিরকুট লিখে যান রাকেশ। তাতে রাকেশ বলেছেন, তিনি সোনালির সঙ্গে সংসারজীবনে সুখে ছিলেন না। তাঁদের দাম্পত্য জীবনের নানান সিদ্ধান্ত, এমনকি পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে দুজনের সিদ্ধান্তের কথাও সোনালি ফেসবুকের বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। এরপরই রাকেশ ওই সিদ্ধান্ত নেন।’

রাকেশ একজন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। তিনি এমবিএ করেছেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। পুলিশ বলছে, কয়েক দিন ওই কাজ ছেড়ে দিয়ে রাকেশ নতুন কিছু করতে চাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। সোনালি একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী। তিনি কয়েক মাস আগে কাজ ছেড়ে দেন।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts