তিন তালাকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তসলিমা

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক তিন তালাক প্রথার অবলুপ্তি চেয়ে এ বার সরব হলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ভারতে অবিলম্বে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ ধর্মীয় মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দেওয়া নয়, বলেছেন বাংলাদেশি লেখিকা।

সোমবার তিনি রাজস্থানের জয়পুর সাহিত্য উতসবে এক আলোচনা সভায় অংশ নেন। সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেছেন। অত্যন্ত গোপনে তসলিমাকে জয়পুর সাহিত্য উতসবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তসলিমার যোগদানের খবর পেয়েই একটি সংখ্যালঘু সংগঠন বিক্ষোভ দেখিয়েছে উতসব চত্বরে।

তসলিমা নাসরিনকে যে জয়পুর সাহিত্য উতসবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তা আয়োজকরা আগে জানাননি। মৌলবাদী সংগঠনগুলি গোলমাল পাকাতে পারে, এই আশঙ্কায় বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। তাঁকে একটি সাক্ষাতকারমূলক আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগের মুহূর্তে বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।

তসলিমা এ দিন বলেছেন, ‘‘মেয়েদের অধিকার সুরক্ষিত করার স্বার্থেই ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হওয়া জরুরি।’’ কোনও ধর্মই আইনের ঊর্ধ্বে হতে পারে না বলে তাঁর মত। তসলিমার প্রশ্ন, সকলের জন্য আইন এক রকম না হওয়া কি আদৌ গণতান্ত্রিক?

তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘‘হিন্দুদের জন্য যদি একটা আইন থাকে, হিন্দু মহিলারা যদি স্বেচ্ছায় স্বামীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকার পান, স্বামীর সম্পত্তিতে যদি তাঁদের অধিকার থাকে, এবং আমরা যখন দেখছি যে এই আইনটা কতটা প্রগতিশীল, তখন ইসলামি মৌলবাদীরা কেন এর (মুসলিম মহিলাদের এই অধিকার দেওয়ার) বিরোধিতা করছেন?’’

শুধুমাত্র ভোট পাওয়ার জন্য ধর্মীয় মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দেওয়া হয় এবং তাকে ধর্মনিরপেক্ষতার নাম দেওয়া হয়, মত তসলিমা নাসরিনের।

সাহিত্য উতসবে তসলিমা নাসরিনের যোগদানের খবর অবশ্য চাপা থাকেনি। খবর ছড়াতেই মৌলবাদীরা তীব্র উষ্মা প্রকাশ করেন। একটি সংখ্যালঘু সংগঠন ইতিমধ্যেই সাহিত্য উতসবে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হয়েছে বলে বিক্ষোভকারীদের দাবি।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts