সাইফ বরকতুল্লাহ ।।
সকাল সোয়া নয়টা (১৩.১২.২০১৫)। ঘুম থেকে উঠেছি আরো আগে। নাস্তার পর নিউজের আপডেট দেখার জন্য টেলিভিশনটা অন করলাম। সর্বশেষ সংবাদটা দেখার পরই মনটা বিষণ্ন হয়ে গেল। আবদুল্লাহ আল ফারুক ভাইয়ের মৃত্যুর খবর। সাথে সাথে ফোন দিলাম অাবুল কালাম আজাদ ভাই ও শতদল সরকার ভাইকে। ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে খবরটা জানালাম তাদেরকে।
বউকে বললাম, ফারুক ভাই আর নেই। ও বলল, কয়েকদিন আগে তাঁকে(ফারুক ভাই) এটিএন নিউজের এক টকশােতে দেখেছিলাম।
ফারুক ভাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। গত ২১শে ফেব্রুয়ারিতে(২০১৫) আরেক প্রিয় ভাইকে হারিয়েছি। হাসিমাখা পান জাকির ভাই। জাকির ভাই দেখতে দীর্ঘ ও সুঠাম দেহের ছিলেন। সবসময় হাসিভরা মুখ আর পানের মৌ মৌ গন্ধ ছাড়া তাকে কেউ কখনও দেখেছেন কিনা আমি বলতে পারব না। কথায় কথায় চুটকি বলা ছিল তার প্রাণবন্ত স্বভাব। অার আজ ফারুক ভাইও চলে গেলেন।
আজকের পত্রিকায় আমরা একই সাথে কাজ করেছি। ফারুক ভাই কথা কম বলতেন। কিন্তু যখনই চা খেতে যেত তখনই আমরা কয়েকজন (মুস্তফা হুসেইন, শতদল সরকার, শাহনেওয়াজ ভাই, কৈলাস সরকার, মোহাম্মদ আলম, আজাদ ভাই) একসাথে আড্ডায় মেতে উঠতাম। আমাদের অফিস গুলশান লেকের পাড়ে। বিকেলের পড়ন্ত আলোতে আমাদের আড্ডা মুখরিত হয়ে উঠত। কিন্তু আজ সবই স্মৃতি।
রোববার ১৩.১২.২০১৫
গুলশান, ঢাকা