অবসাদের মোক্ষম ওষুধ

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক হাঁটার সঙ্গে অবসাদের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা উঠে এল নতুন এক সমীক্ষায়। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০১৭-র থিম ছিল অবসাদ। এ দিন ম্যাক্স বুপা ওয়াক ফর হেলথ সার্ভে-র প্রকাশিত চতুর্থ সংস্করণ বলছে, যে যারা নিয়মিত হাঁটেন তাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই অনুভব করেছেন এর ফলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়েছে।

দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু ও জয়পুর। দেশের এই চার রাজ্য জুড়ে ছিল ম্যাক্স বুপার সমীক্ষা। তারা বলছে, যে কোনও বয়সেই হাঁটা স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ৪২ শতাংশ বয়স্ক ও ৫০ শতাংশ অল্পবয়সী (১৯৮২-২০০৪ সালের মধ্যে জন্মানো) জানিয়েছেন হাঁটা তাদের স্ট্রেস ও টেনশন কমাতে সাহায্য করে। এই অল্পবয়সীদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা, ৬৬ শতাংশ দিল্লির বাসিন্দা, ৫৩ শতাং‌শ মুম্বইয়ের বাসিন্দা ও ৪৮ শতাংশ জয়পুরের বাসিন্দা। এদের মধ্যে ৪০ শতাংশকেই উদ্বুদ্ধ করেছে বিভিন্ন ওয়াকিং অ্যাপস ও গ্যাজেটস। যা তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়িয়ে দিয়েছে।

এর সঙ্গেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাদের হাঁটার অভ্যাস নেই তাদের মধ্যে অবসাদে ভোগার প্রবণতা অনেক বেশি। এমনকী, যারা হাঁটেন না তাদের মধ্যে ১৫ শতাংশ অবসাদ ও উচ্চ স্ট্রেসের সমস্যায় ভোগার কথা স্বীকারও করেছেন। অন্য দিকে, যারা অবসাদের ভুগছেন এবং চিকিত্সকের পরামর্শে নিয়মিত হাঁটছেন, তাদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ জানিয়েছেন হাঁটার সময় তারা অবসাদের কথা ভুলে যান, ৫০ শতাংশ জানিয়েছেন হাঁটা তাদের জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে সাহায্য করে, ৩৯ শতাংশ মনে করেন হাঁটা তাদের খুশি রাখে ও ২৬ শতাংশ বলেছেন হাঁটার ফলে তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts